২০০ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে সদস্যপদ দেয়নি ই-ক্যাব

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) বিভিন্ন কমপ্লায়েন্স পূরণ করতে না পারায় ২০০ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে সদস্যপদ দেয়নি। এখনও ৫৬টি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি ঝুলে আছে। সোমবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে গণমাধ্যমের সামনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। সংগঠনের সাত বছর পূর্তিতে সমবেত হন কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যরা।

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ই-কমার্স খাতে নানান ঘটনার আলোকে ব্যাপক সমস্যা চলছে। এগুলো সমাধানের মাধ্যমে ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে ই-ক্যাব। একইসঙ্গে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে উদ্যোক্তাদের নিয়ে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজের জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন।

ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমালের মন্তব্য, ‘ই-কমার্স খাত এখনও লাভের মুখ দেখেনি। তবুও একদিকে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গত দেড়বছর কর্মীরা সেবা দিয়ে গেছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ই-কমার্স খাত আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘মাত্র ১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের অপকর্মের দায় পুরো ইন্ডাস্ট্রি নেবে না। ই-কমার্স খাত যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে।’

ই-ক্যাব নেতারা জানান, দেশে ই-কমার্সের দেড় কোটি গ্রাহক তৈরি হয়েছে। শিগগিরই মাসব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেবে ই-ক্যাব। এর মাধ্যমে দুই কোটি গ্রাহককে সচেতনতার আওতায় আনা হবে।

বক্তারা ই-কমার্সের জন্য ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন। এটা করা গেলে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতি শক্তিশালী ভিত খুঁজে পাবে বলে তাদের বিশ্বাস। তারা জানান, গত দুই মাসে দেশের চারটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানের প্রায় হাজার কোটি টাকার মতো বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন। এছাড়া বক্তব্য রেখেছেন ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হক অণু, যুগ্ম সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা, পরিচালক আশীষ চক্রবর্তী, জিয়া আশরাফ, আসিফ আহনাফ, সাঈদ রহমান।