নতুন যে পরীক্ষা চালাচ্ছে টুইটার

বিশ্বব্যাপী নির্দিষ্ট কিছু ব্যবহারকারীদের কাছে ‘ডাউনভোট’ বাটনের পরীক্ষা চালাচ্ছে টুইটার। এমন ঘোষণা দিয়ে একটি টুইট বার্তায় প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গত জুলাইতে প্রাথমিকভাবে এ পরীক্ষা চালিয়ে ভালো ফল পেয়েছিল তারা। তবে আগের মতোই রিপ্লাই হিসেবে ডাউনভোটের সংখ্যা সবাই দেখবে না। শুধু ব্যবহারকারীই দেখতে পারবেন।

পরীক্ষার প্রথম রাউন্ডে টুইটার বিভিন্ন সংস্করণে ডাউনভোট অফার করে। কেউ আপভোট এবং ডাউনভোট দুটো বাটনই দেখতে পেয়েছেন। কেউ হার্ট বা লাইক বাটনের পাশে শুধু ডাউনভোট  দেখতে পেয়েছেন। আরেক দলকে থামবসআপ ও ডাউনভোট দেখার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে বিশ্বব্যাপী এই পরীক্ষায় এই বাটনগুলোই দেওয়া হবে কি না তা এখনও নিশ্চিত করেনি টুইটার।

টুইটার জানায়, বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই ডাউন-অ্যারো ক্লিক করেছেন। কেননা সংশ্লিষ্ট রিপ্লাইগুলো আক্রমণাত্মক ছিল অথবা প্রাসঙ্গিক ছিল না। এছাড়াও ডাউনভোটিং-এর মাধ্যমে কোন ধরনের কনটেন্ট মানুষজন দেখতে চায় না সেটাও বোঝা গেছে।

এনগেজেট জানায়, রেডিট এই ডাউনভোটিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে ২০০৫ সাল থেকে। ডাউনভোটের রেফারেন্স হিসেবে টুইটার বিষয়টি উল্লেখ করে।

২০১৮ সালে ফেসবুকও এই পরীক্ষা চালায়। তবে তা স্থায়ী হয়নি। আবার ইনস্টাগ্রাম লাইক লুকিয়ে ফেলার অপশনও চালু করেছিল ফেসবুক।

এনগেজেট জানায়, লাইক, ডিসলাইক, ডাউনভোট এবং রিঅ্যাকশন ইমোজিগুলো নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সমালোচকরা বিভিন্ন মন্তব্য করে আসছেন। কেউ বলছেন এটি কনভারসেশনের মান উন্নত করবে, কেউ বলছেন পরিবেশ বিষিয়ে তুলবে। তবে টুইটার জানালো, যারা ডাউনভোট দিচ্ছেন তারা মূলত কনভারসেশনের মান উন্নত করার কথাই বলছেন।