নিলামে তরঙ্গ বিক্রি করে সরকারের আয় ১০ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা

তরঙ্গ (স্পক্ট্রাম) নিলাম ( ২.৩ এবং ২.৬ গিগাহার্টজ ব্যান্ডে) অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি তরঙ্গ কিনেছে গ্রামীণফোন ও রবি। অপারেটর দুটি ৬০ মেগাহার্টজ করে তরঙ্গ কেনে। বাংলালিংক ও টেলিটক যথাক্রমে ৪০ এবং ৩০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কেনে। তরঙ্গ বিক্রি করে সরকারের আয় হলো ১০ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। এই তরঙ্গ দিয়ে ফাইভ-জি ছাড়াও থ্রিজি এবং ফোরজি নেটওয়ার্কে সেবা দেওয়া যাবে।

এই বাড়তি তরঙ্গে মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকদের কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিশ্চিত করতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিলাম শুরু হয়। নিলাম পরিচালনা করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। নিলাম অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার প্রমুখ অংশ নেন।

‘স্পেক্ট্রাম অকশন-২০২২’ শীর্ষক নিলামে প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের ভিত্তিমূল্য ধরা হয় ১৫ বছরের জন্য ৬ মিলিয়ন ডলার। এবারের নিলামের জন্য ২.৩ এবং ২.৬ গিগাহার্টজ ব্যান্ড নির্ধারণ করা হয়। নিলাম অনুষ্ঠিত হয় ১৮ ব্লকে। প্রতি ব্লকে ছিল ১০ মেগাহার্টজ করে তরঙ্গ। নিলামের জন্য ২২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলামের জন্য ছিল। এর মধ্যে ১৯০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলামে বিক্রি হয়।

নিলাম অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার অপারেটরদের মানসম্মত সেবাদানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এখন আর অপারেটরদের তরঙ্গের কোনও ঘাটতি থাকবে না।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার নিলামের দিনটাকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, নিলাম অনুষ্ঠান পেছানোর জন্য আমাকে নানাভাবে অনুরোধ করা হলেও আমি দৃঢ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম, মুজিব শতবর্ষের শেষ দিনে হলেও এটি আয়োজন করা হবে। আজ সেই দিন। তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটরগুলো যে তরঙ্গ ছিল আজ থেকে তা সবার দ্বিগুণ হয়ে গেলো। ফলে গ্রাহক এখন থেকে মানসম্মত সেবা পাবে, এটা আশা করা যায়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো ফাইভ-জি চালু হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক পরীক্ষণমূলকভাবে এই নেটওয়ার্ক চালু করে।