ই-সিম বিক্রির বাধা কাটলো গ্রামীণফোনের

ই-সিম বিক্রির বাধা কাটলো মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের। সোমবার (২৫ এপ্রিল) থেকে নির্দিষ্ট গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে ই-সিম নিতে পারছেন গ্রাহকরা।

মার্চ মাসের শুরুতে অপারেটরটি ই-সিম বিক্রির ঘোষণা দিয়েও তা কার্যকর করতে পারেনি। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির অনুমোদন থাকা এবং অপারেটরটি প্রযুক্তিগতভাবে প্রস্তুত থাকলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদন না থাকায় এটি বাজারে আসতে দেরি হয়। সোমবার এনবিআর সিদ্ধান্ত দিলে বাধা কাটে গ্রামীণফোনের। এনবিআরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ই-সিমের জন্যও ২০০ টাকা কর পরিশোধ করতে হবে অপারেটরদের বলে জানা গেছে।

ফোরজি ই-সিম

‘পরিবেশবান্ধব ডিজিটাল সিমের এখনই সময়’ স্লোগানে গ্রামীণফোন গ্রাহকরা নিজেদের ক্ষমতায়নে ই-সিম সমর্থন করে— এমন ডিভাইসে প্লাস্টিক সিম কার্ড ছাড়াই কানেক্টিভিটির পূর্ণ সুবিধা উপভোগ করবেন বলে জানিয়েছে অপারেটরটি।

দেশের বাজারে ই-সিমের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘এ ধরনের উন্নত ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত। ই-সিম উন্মোচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব কানেক্টিভিটির নতুন যুগের সূচনায় আমাদের সহায়তা করার জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’

অপারেটরটি জানিয়েছে, গ্রামীণফোনের নতুন ই-সিম সংযোগ পেতে হলে ক্রেতাদের ই-সিম সমর্থন করে— এমন ডিভাইস নিয়ে গ্রামীণফোনের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) এবং নির্ধারিত গ্রামীণফোন সেন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করে ই-সিমের জন্য অনুরোধ করতে হবে। সিম কেনার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, গ্রামীণফোনের অনলাইন শপের মাধ্যমেও ই-সিমের জন্য অনুরোধ করা যাবে। ই-সিমের ক্ষেত্রে নতুন সংযোগের মূল্য ২০০ টাকা এবং প্লাস্টিক সিম থেকে ই-সিম কিংবা ই-সিম থেকে ই-সিমে রিপ্লেসমেন্ট ফি ৯৯ টাকা।

ই-সিম সমর্থন করে এমন ডিভাইসে থাকা ক্যামেরা দিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করে ই-সিম সক্রিয় করতে ইন্টারনেট সংযোগ (মোবাইল ডাটা অথবা ওয়াইফাই) চালু করতে হবে। এর ফলে প্রচলিত সিম কার্ডে যে ঝামেলা রয়েছে তা দূর হবে। বহু নেটওয়ার্ক এবং নম্বর একটি ই-সিমে সংযুক্ত করা যাবে। তবে এটি নির্ভর করবে হ্যান্ডসেটের ওপর।