ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, সাধারণ সম্পাদক তমাল

অনলাইন উদ্যোক্তাদের বাণিজ্য সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২২-এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান সভাপতি শমী কায়সার। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল একই পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

সোমবার (২০ জুন) সংগঠনটির শীর্ষ কর্মকর্তা পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫টি পদে ৫ জন শীর্ষ কর্মকর্তা নির্বাচিত হন।

নির্বাচিত অন্যরা হলেন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক নাছিমা আক্তার নিশা এবং অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ।

গত ১৮ জুন ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন হয়। ৩১ প্রার্থীর বিপরীতে পরিচালক পদে ৯ জন নির্বাচিত হন। ৭৯৫ জন ভোটারের মধ্যে ৬১১ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

গত ২৮ মার্চ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সোমবার (২০ জুন) বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে ই-ক্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তা পদে নির্বাচন হয়। নির্বাচিত পরিচালকদের ৫ জন ভিন্ন ভিন্ন পদের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেন। একইপদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন বোর্ড ৫ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা পরিচালক হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন। ৯ জনের এই পরিষদ আগামী ২ বছর এই খাতে ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করবেন।

নির্বাচনে ৩টি প্যানেলে ৯ জন করে ২৭ জন ও ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নেন।

২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্য সংগঠনটিতে এর আগে ৩টি পরিষদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল।

পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ফুডপান্ডা বাংলাদেশ-এর সৈয়দা আম্বারিন রেজা, পেপারফ্লাই লিমিটেড থেকে শাহরিয়ার হাসান, ডিজিটাল হাব লিমিটেড থেকে সাইদ রহমান এবং সেবা ডট এক্সওয়াইজি থেকে ইলমুল হক।

প্রথম ৮ জন প্রার্থী অগ্রগামী নামের প্যানেল থেকে একজন নির্বাচিত হয়েছেন দি চেঞ্জ ম্যাকার্স প্যানেল থেকে।

নির্বাচিত সভাপতি শমী কায়সার বলেন, আমরা বিগত বছরগুলোতে বিশেষ করে কোভিড সময়ে সদস্য ও ভোটারদের পাশে ছিলাম। এই খাতের উন্নয়নে কাজ করেছি। খাতটির শুরু থেকে আজকের অবস্থানে আনার জন্য কাজ করেছি। তারই প্রতিদান হিসেবে এই খাতের ব্যবসায়ীরা আমার দলের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা রক্ষা করতে আগামী দুই বছর কাজ করবো।

প্রসঙ্গত, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৪ জুলাই। এর পর নতুন নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব নেবে।