‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার জন্য লাগসই ডিজিটাল সংযোগ লাগবেই’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য লাগসই ডিজিটাল সংযোগ ও ডিজিটাল ডিভাইস লাগবেই। ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন হলো শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো। ইন্টারনেট সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করার পাশাপাশি কম দামে স্মার্টফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই এক দেশ এক রেট চালু করেছি। দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন ৯৬ ভাগ চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী শুক্রবার (২৬ আগস্ট) ঢাকায় বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিত ‘রিসাইলেন্ট ইন্টারনেট ফর এ শেয়ার্ড সাসটেইনঅ্যাবল অ্যান্ড কমন ফিউচার: অ্যাক্সেস অ্যান্ড কানেকটিভিটি, কমিউনিটি নেটওয়ার্কস, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল ইনক্লুশন’ শীর্ষক অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং বিআইজিএফ চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি হচ্ছে ইন্টারনেট। কাউকে এ থেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, ইন্টারনেটের খারাপ দিক থেকে ছেলে-মেয়েদের সুরক্ষায় অভিভাবকদেরই ভূমিকা নিতে হবে। প্যারেন্টাইল গাইডেন্স ব্যবহার করে ইন্টারনেট শতভাগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ২৬ হাজার পর্নসাইট ও ৬ হাজার জুয়ার সাইট আমরা বন্ধ করেছি। প্রাথমিক স্তরে বই ছাড়া ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমেও লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছি। দেশের ৮০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তা চালু হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ২০০৬ সালে দেশে প্রতি এমবিপিএস ইন্টানেটের দাম ছিল ৭৮ হাজার টাকা। ২০০৮ সালে তা ২৭ হাজার এবং এখন তা ৬০ টাকা হয়েছে। ওই সময় (২০০৬) দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হতো। এখন বেড়ে ৩ হাজার ৮শ জিবিপিএস-এ হয়েছে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, থ্রি-জি মোবাইল আমদানি ও উৎপাদন জানুয়ারি থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। ফোর-জি হবে কমন প্লাটফর্ম।

কলড্রপের টাকা গ্রাহকরা ফেরত পাবেন বলেও মন্ত্রী এসময় উল্লেখ করেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ইন্টারনেট দেশে নতুন অর্থনীতির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কৃষক-শ্রমিক, প্রবাসী ও গার্মেন্ট কর্মীদের বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি উল্লেখ করে বলেন, তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আইসিটি তরুণ–তরুণীরা।

তিনি ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার ঘোষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, অ্যামটবের সাবেক মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির, আইজিএফ’র সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আবদুল হক অনু, ইয়ুথ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের চেয়ারপারসন সৈয়দা কামরুন জাহান রিপা এবং কিডস ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের চেয়ারপারসন আয়শা লাবিবা প্রমূখ বক্তৃতা করেন।