আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো: পলক

আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো। কোথাও আমরা ভূমিকা পালন করছি বাস্তবায়নকারী হিসেবে, কোথাও পরামর্শক হিসেবে, আবার কোথাও সহায়ক হিসেবে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ‍ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো (বিএমইটি) আয়োজিত ডিজিটালাইজেশন অব বিএমইটি সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমন অভিমত তুলে ধরেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে আমরা যে নিজেদের শক্তিশালী মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ হিসেবে পরিচয় দিতে পারছি, তার মূল তিনটি শক্তি হলো কৃষি— পোশাক এবং প্রবাসী খাত। কৃষি, পোশাক এবং প্রবাসী এই তিনটি সেক্টর হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড।’

তিনি বলেন, ‘একদিকে প্রবাসী ভাই-বোনেরা আমাদের প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। অপর দিকে পোশাকশিল্প থেকে ৩০-৩৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে। কৃষিতে সাড়ে ৩ কোটি শ্রমিক আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। সে কারণে আমরা স্যালুট জানাই— আমাদের এক কোটি ২০ লাখ ভাইবোনদের, যাদের রক্ত, ঘাম এবং শ্রমের মধ্য দিয়ে আমাদের বেতনভাতা হয়, রাস্তাঘাট হয়, আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মৌলিক চাহিদাগুলোর মূল যোগান দেয় আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে, তারাও স্মার্ট প্রসেস ব্যবহার করছে। যারা বেশি করে ডেটা প্রডিউস করছে এবং ডেটা অ্যানালাইসিস করতে পারছে, তাদের যে সম্পদ তৈরি হচ্ছে, তা ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক সম্পদ তেল, সোনা বা হীরার থেকেও বেশি মূল্যবান হয়ে যাবে। তার বড় প্রমাণ আজকের ডিজিটালাইজেশন অব বিএমইটি সার্ভিস প্রবাসী অ্যাপ।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে উভয়পক্ষের সমান দায়িত্ব ও অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘যখনই আমরা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের কথা বলি, সেটাকে অংশীদারিত্বই হতে হয়। সরকার সুযোগ দেয়, কারণ তার সেবাটি প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটি’র মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ প্রমুখ।

একজন বিদেশগামী কর্মী স্বল্প সময়ে, কম অর্থ ব্যয়ে এবং কোনও ধরণের ভোগান্তি ছাড়া অনলাইনেই ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন এবং বিএমইটি স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে পারবেন। সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্রক্রিয়াটি প্রস্তুত করেছে বিএমইটি-র ডিজিটাল সার্ভিস প্রোভাইডার ‘আমি প্রবাসী লিমিটেড’। ক্লিয়ারেন্স স্মার্ট কার্ড এখন সত্যিকার অর্থেই ‘স্মার্ট’। কিউআর কোডভিত্তিক এই কার্ডটি সহজে চাইলে যে কেউ পৃথিবীর যেকোনও প্রান্ত থেকে যাচাই করতে পারবেন। ‘আমি প্রবাসী অ্যাপ’র মাধ্যমে বিএমইটি ডাটাবেজে নিবন্ধন, ট্রেনিং কোর্সে আবেদন, ট্রেনিং ও প্রি-ডিপার্চার ওরিয়েন্টেশন (পিডিও) সেশন বুকিং, ট্রেনিং ও পিডিও সার্টিফিকেট ডিজিটালাইজেশনে ভূমিকা রেখেছে।