বৈশ্বিক সংকট বিবেচনায় আইসিটি বিভাগের ১৭টি অনুষ্ঠান বাতিল

বৈশ্বিক সংকট বিবেচনায় সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে আইসিটি বিভাগের ১৭টি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সংবাদ সম্মেলন করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ ঘোষণা দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ব্যয় সাশ্রয় উদ্যোগে এই ১৭টি অনুষ্ঠান বাতিলের ফলে সরকারের অন্তত ৪০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এই টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফেরত দেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় এসব অনুষ্ঠানের জন্য ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল।’

পলক বলেন, ‘অর্থ সাশ্রয়ের ‍উদ্যোগের কারণে আগামী ১২ ডিসেম্বর ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’’ উদযাপন অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে করা হবে। এছাড়া একই মাসে (৮-১১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিতব্য ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, ডিজিটাল ইনোভেশন সামিট, বিপিও সামিট, ব্লক চেইন অলিম্পয়াড, হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাসহ ১৭টি অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। যেগুলোর টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল সেগুলোও বাতিল করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের এই সংকট কেটে গেলে আবারও বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।’ এছাড়া বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও অর্ধেক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

সদ্য সমাপ্ত ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (আইসিপিসি) ফাইনালস ঢাকা-২০২২ আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন উঠলে পলক বলেন, ‘এটা প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বকাপ ছিল। এটার উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৬ সালে। ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী এর অনুমোদন দেন। এই আসরের আয়োজন করতে পারা অনেক সম্মানের। এই আয়োজনের ফলে বিশ্ব বাংলাদেশকে নতুনভাবে চিনেছে।’

তিনি বলেন, ‘এশিয়ায় এই আয়োজনের আয়োজক হয়েছে চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড। এশিয়ার চতুর্থ আয়োজক দেশ হলো বাংলাদেশ। এটা আমাদের সক্ষমতারও প্রশ্ন ছিল। সারা বিশ্বের কাছে আয়োজনের কথা পৌঁছেছে। এই আয়োজন অত্যন্ত কার্যকর হয়েছে।’ এই আয়োজনের জন্য যা বাজেট ছিল তার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ ব্যয় হয়েছে বলে তিনি জানান।