‘দেশের প্রতিটি গ্রামে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ’

প্রযুক্তি সাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে না পারলে জাতিকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। ‍আমরা সে কাজটি দৃঢ়তার সঙ্গে করছি বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়েছি। দেশের প্রতিটি গ্রামে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার উদ‌্যাগ আমরা গ্রহণ করেছি।’

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনলোজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘স্মার্ট কানেক্টিভিটি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম‌্যান শ‌্যাম সুন্দর সিকদার, বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ, পুলিশের ডিআইজি হায়দার আলী খান, এমটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এসএম ফারহাদ, আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক, ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির, টিআরএনবি সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমটবের সাবেক মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল সংযুক্তি প্রসারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারাবাহিক বিবর্তন। ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তির ওপর স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। ইন্টারনেট প্রসারের পাশাপাশি ডিজিটাল কনটেন্টের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।’ তা না হলে নতুন প্রজন্ম নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে যাবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল কনটেন্টে যতক্ষণ পর্যন্ত দেশীয় সংস্কৃতি যুক্ত না হবে, বিপদের সম্ভাবনা তত বাড়তেই থাকবে। স্মার্ট বাংলাদেশের বড় চ‌্যালেঞ্জের নাম হবে ডিজিটাল নিরাপত্তা।’ স্মার্ট বাংলাদেশের জন‌্য স্মার্ট মানুষ তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

মন্ত্রী আরও  বলেন, ‘ইন্টারনেটে কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ের উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। এই অবস্থাটা আগামীতে আরও ভয়ংকর হবে। সেটা মোকাবিলা করতে হবে।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘কম্পিউটার ব্যবসায়ীরা ঘরে ঘরে কম্পিউটার পৌঁছে দিয়েছেন। চাহিদা সৃষ্টি করেছেন। আপনাদেরকেও গ্রামে গ্রামে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিতে হবে। কেননা, ডিজিটাল রূপান্তর মানেই জীবন-জীবিকার মনোন্নয়ন।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধে টিআইএম নূরুল কবির বলেন, ‘তরুণদের বক্তব্য শুনে স্মার্ট সমাজ, সরকার ও সেবার নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে আলোকপাত করেন।’ একইসঙ্গে অংশীজনদের নিয়ে বিদ্যমান নীতিমালায় ঘাটতিগুলো খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন তিনি।