‘স্মার্ট মানবসম্পদ তৈরি করতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান করতে হবে’

ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান প্রচলিত পাঠদান পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় এবং স্মার্ট মানবসম্পদ তৈরির জন্য কার্যকর একটি পদ্ধতি বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি মনে করেন, শিক্ষার্থীরা এক বছরের পাঠ্যক্রম তিন থেকে চার মাসেই সহজে আয়ত্বে আনতে সক্ষম। ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠ প্রদানের ফলে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং নিয়মিত উপস্থিতির হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তারা।

বুধবার (১৫ মার্চ) আশুলিয়া থানার বাঁশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে বিটিআরসির সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের অধীন ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৮টি পাড়া কেন্দ্রে ডিজিটাল যন্ত্রে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠদান কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, বিজয় ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী জেসমিন আক্তার জুঁই, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আবদুল ওয়াহাব, সাভারের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাজহারুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক মোকসেদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্পের অধীন ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৮টি পাড়া কেন্দ্রের ১ হাজার ৯৭৮টি শ্রেণিকক্ষের জন্য ল্যাপটপ, স্মার্ট টিভি, ডিজিটাল কনটেন্ট, আইপিএস এবং সোলার প্যানেল সরবরাহ করা হয়। এছাড়া ১৬ জন প্রাথমিক শিক্ষককে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।