মোবাইল সংযোগ বাংলাদেশের সম্ভাবনা বিকাশের প্রধান চাবিকাঠি: প্রতিবেদন

টেলিনর এশিয়ার গবেষণা ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড’র মতে, মোবাইল সংযোগ বাংলাদেশের সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশের প্রধান চাবিকাঠি। মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের প্রধান বিনিয়োগকারী টেলিনর এশিয়ার ‘বিল্ডিং বেটার ডিজিটাল লাইভস ফর আ স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করা হয়। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল শেরাটনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

সূচনা বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন।

টেলিনর এশিয়া’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব এক্সটারনাল রিলেশনস মনীষা ডোগরা’র সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এশিয়া’র ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড শীর্ষক প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। এই প্রতিবেদনে সামাজিক রূপান্তর, কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নতুন সম্ভাবনার বিকাশে মোবাইল সংযোগের কার্যকারিতা প্রসঙ্গে এশিয়ার ৮টি দেশের ৮ হাজারেরও বেশি ব্যক্তির ওপর পরিচালিত জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণাদি উপস্থাপন করা হয়েছে।

সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিটিআরসি’র ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবির বলেন, ‘মোবাইল সংযোগ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম মৌলিক উপকরণ। তাই এক্ষেত্রে নানাবিধ সমাধান খুঁজে বের করতে আমাদের প্রয়োজন আরও কার্যকরী যৌথ প্রচেষ্টা। সর্বজনীন ও অর্থপূর্ণ আন্তঃসংযোগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর সহজতর করার জন্য আমাদের একযোগে একটি ভবিষ্যতমুখী ও টেকসই টেলিকম অবকাঠামো ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’

গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার ড. আসিফ নাইমুর রশিদ বলেন, ‘দেশের জনসাধারণের প্রাত্যহিক জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির যাত্রায় কানেক্টিভিটি’র অপার সম্ভাবনা নিয়ে সবসময় পাশে রয়েছে গ্রামীণফোন।’

টেলিনর এশিয়া ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড রিপোর্টের তিনটি অধ্যায়ে এশিয়ার ৮টি দেশ (বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম) থেকে ৮ হাজারেরও বেশি ব্যক্তির তথ্য যাচাই করা হয়েছে। এই প্রকাশনাটির লক্ষ্য মূলত মোবাইল কানেক্টিভিটির প্রসঙ্গে অংশগ্রহণকারীদের মনোভাব ও আচরণ বিশ্লেষণ করা। কীভাবে এটি এশিয়া অঞ্চলে জনগণের জীবনযাত্রা, পেশা ও বিনোদনকে প্রভাবিত করছে, তা অনুসন্ধান করা। অংশগ্রহণকারীদের লিঙ্গ এবং বয়সের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়।