‘টেকনোলজির আরেকটা বড় অগ্রগতি হবে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং’

রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ও এক্সপো ২০২৩। দুই দিনব্যাপী এই সামিট ও এক্সপোর আয়োজক জেসিআই বাংলাদেশ। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় শুক্রবার (৯ জুন) সামিটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জেসিআই বাংলাদেশের ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কাদির বলেন, দেশে ২২ লাখ তরুণ চাকরির বাজারে প্রবেশ করার জন্য তৈরি হচ্ছে। দেশে তরুণদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জেসিআই সেই তরুণ জনগোষ্ঠীকে নিয়েই কাজ করছে।

স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী। তিনি তার উপস্থাপনায় সরকার ডিজিটালাইজেশন থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পণের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রযুক্তি খুবই দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেটার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন। বিশ্বে একটা বড় চ্যালেঞ্জ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এটি এখন এমন সব কাজ করছে, যা বিশ্বকে একটা চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে। এসব নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, টেকনোলজির আরেকটা বড় ধরনের অগ্রগতি হবে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং। যেটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন কাজ করছে। এখন বাংলাদেশ সামনের দিনের প্রযুক্তি নিয়ে কীভাবে কাজ করবে, সেটা নিয়ে সরকার একটা নীতিমালা করে দিতে পারে। বেসরকারি বিভিন্ন খাতকে এসব নিয়ে কাজ করতে সুযোগ করে দিতে পারে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ঘোষণার পর স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে প্রথম সামিট করছে জেসিআই। আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ এমন ১০টা স্টার্টআপ পাবে, যারা কয়েক মিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ হবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, এখনকার ট্রান্সফরমেশন দেখে এটা আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি স্মার্ট বাংলাদেশ এখন সময়ের ব্যাপার।

সামিটে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, জেসিআই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, জেসিআই বাংলাদেশের চেয়ারপারসন ও স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট অ্যান্ড ফাউন্ডেশন কমিটির আহ্বায়ক তাহসিন আজিম সেজান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে মোট ১১টি বিশেষ অধিবেশন থাকছে।