ওয়াইফাই গ্রাম গড়ে স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার পেলেন মোবারক হোসেন

গ্রামে গ্রামে রাউটার স্থাপন করে ওয়াইফাই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন ইন্টারনেট। একটি রাউটার ব্যবহার করতে পারছে গ্রামের কয়েকজন ব্যবহারকারী। একটি বাড়িতে তা স্থাপন করা হচ্ছে। আশপাশের বাড়ির লোকজন সেই ওয়াইফাই ব্যবহার করছেন,  মাস শেষে যা বিল আসছে সেই বিল যারা রাউটারে লগইন করে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারা ভাগ করে পরিশোধ করছেন। ফলে অল্প টাকায় গ্রামের লোকজন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন এবং একটি রাউটার বেশি মানুষ ব্যবহার করায় তাদের রাউটার কেনার খরচও সাশ্রয় হচ্ছে। এভাবে দেশের বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে ওয়াইফাই গ্রাম গড়ে তুলছে স্বাধীন নামের একটি প্রযুক্তিসেবা। আর কাজটি করছে প্লেক্সাস ক্লাউড লিমিটেড। 

এই প্রযুক্তিসেবা দিয়ে প্লেক্সাস ক্লাউড লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২৩ অর্জন করেছেন। তিনি ব্যক্তি শ্রেণিতে এ পুরস্কার অর্জন করেন।   

প্লেক্সাস ক্লাউড লিমিটেড স্বাধীন নামের এমন একটি প্রযুক্তি উন্নয়ন করেছে যা ওপেনস্টেক ক্লাউডের মধ্যে স্থাপন করা। তাই গ্রাহক বাজার থেকে যেকোনও ব্র্যান্ডের রাউটার কিনতে পারে এবং যেকোনও রাউটারের সঙ্গে ‘স্বাধীন’ কাজ করে সমানভাবে তাই গ্রাহক তার প্রয়োজন অনুযায়ী কম বা বেশি মূল্যের যেকোনও ধরনের রাউটারই ব্যবহার করার স্বাধীনতা গ্রাহকের রয়েছে।

 স্বাধীনের নেটওয়ার্ক’র বিস্তৃতি- স্বাধীন যেহেতু দেশীয় প্রতিষ্ঠান তাই দেশীয় বিনিয়োগের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১০০ টিরও বেশি ইউনিয়নে সাপোর্ট সেন্টার রয়েছে। এর মাধ্যমে স্বাধীন পৌঁছতে পেরেছে হাজারো গ্রামে।

স্বাধীন নেটওয়ার্কের জনপ্রিয়তার কারণে ধীরে ধীরে বাড়ছে এর নেটওয়ার্ক পরিধি। স্বাধীন বিশ্বাস করে, গ্রামের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগ অথবা যে গ্রামে ইন্টারনেট পৌঁছে যাচ্ছে ওই গ্রামেরই কাউকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করে ওই গ্রামেই তাকে কর্মের সুযোগ করে দিচ্ছে। এতে করে ওই গ্রামের মানুষ খুব সহজে তার কাছ থেকে সাপোর্ট পাচ্ছে।

স্বাধীনের রয়েছে নেটওয়ার্ক সেন্টার, সাপোর্ট সেন্টার, সেলস পয়েন্ট এবং শেষ এজেন্ট। স্বাধীন চেষ্টা করছে যাতে করে একটি গ্রামের যে পরিমাণ টাকা তারা ইন্টারনেটের পেছনে খরচ করে তার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ টাকা যেন ওই গ্রামে থেকে যায় তাহলে গ্রামের অর্থনৈতিক উন্নতি আরও বেশি হবে। স্বাধীন প্রযুক্তি যাদের বেশি উপকারে আসবে বাংলাদেশের যারা ইন্টারনেট ব্যবসা করছে সব লাইসেন্সধারী আইএসপি (ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) তাদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে যেকোনও লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। এছাড়া হাসপাতাল, গার্মেন্টস, এনজিও, স্কুল, ইউনিভার্সিটি, রেল স্টেশন, বাস স্টেশন, লঞ্চ স্টেশনে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সবাই ব্যবহার করতে পারবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই সফটওয়্যারটি আমরা বিনামূল্যে দিচ্ছি বলে জানালেন প্লেক্সাস ক্লাউড লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন।