ছোটবেলা থেকে কমিস পড়া শখ আর ছিল কল্পনার জগতে হারিয়ে যাওয়া। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কল্পনা কাজে লাগান লেখার মাধ্যমে। স্নাতক শেষ তিনি চিন্তা করেন তার জীবনের প্রধান ফোকাস হবে আর্টস অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি। সেই থেকে মনযোগী হন গান লেখা ও বানানোতে।
তিনি আট বছর যাবৎ কাজ করছেন র্যাপিং নিয়ে। তার একটি ব্যান্ডও আছে 'আপ-টাউন লোকজ' নামে। তার প্রথম অ্যালবাম রিলিজ হয় ২০০৯ সালে ডেড লাইন লেভেলের আন্ডারে। এছাড়াও অনেক ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে ইউটিউবে।
২০১৫ সালে ইউএস স্টেট ডিপার্মেন্ট থেকে তিনি আমন্ত্রণ পান নেক্সট লেভেলের কালচার একচেঞ্জ নামক অনুষ্ঠানে। সেখানে বাংলাদেশসহ আরো পাঁচটি দেশ থেকে র্যাপিং করতে আসে শিল্পীরা। অনুষ্ঠান শেষে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে আল জাজিরা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারও দিয়েছিলেন। আর এই বছর ২০১৭ সালে গিয়েছেন লন্ডনে। লন্ডনের সাইথ ব্যাংক সেন্টার থেকে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় 'ডিক্স উইথআউট বাউন্ডারি' নামক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য। সেখানে বাংলাদেশসহ শ্রীলংকা, ইন্ডিয়া ও আফগানিস্থান থেকে শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশে হিপ হপ সম্পর্কে তিনি জানান, আমাদের দেশে নতুন কিছু পর্যবেক্ষণ করতে আমরা বেশ সময় নিই। কিন্তু একবার যদি সেই পর্যবেক্ষণটা ভালো লেগে যায়, তবে সেটাই আমরা গ্রহণ করি। বর্তমানে আগের চেয়ে বাংলাদেশে গ্রহণ যোগ্যতা বেড়েছে হিপ হপ সঙ্গীতের। শুধু ঢাকাতে নয়, ঢাকার বাইরে নারায়গঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনাতেও রয়েছে হিপ হপের বড় একটা অংশ।
নতুনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হিপ হপে পড়াশোনাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যতবেশি হিপ হপ নিয়ে অধ্যয়ন করবে, ততবেশি জানবে। আর যখনই একটি বিষয় নিয়ে জানবে তখনই ভালো কিছু করতে পারবে।
আসিফুল ইসলাম সোহান (ব্ল্যাক জ্যাং) বিবিএ স্নাতক শেষ করেছেন তিতুমীর কলেজ থেকে। বর্তমানে র্যাপিং এর পাশাপাশি কালার্স এফএম রেডিওতে 'হুইচ প্ল্যানেট হিপ হপ' নামক একটি অনুষ্ঠানে হোষ্ট হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমানে এটিই বাংলাদেশে প্রথম হিপ হপ সঙ্গীতের রেডিও অনুষ্ঠান।
/এফএএন/