সংগঠনের সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশে বিজ্ঞান চর্চার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ঢাকার কয়েকজন তরুণ ১৯৭৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর গড়ে তোলেন অনুসন্ধিৎসু চক্র। সেই থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের কাছে সহজভাবে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানকে পৌঁছে দিতে সংগঠনটি কাজ করছে। সংগঠনটি মৃলত বিজ্ঞান ভিত্তিক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে সদস্যদের বিজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞান এবং কোনও সদস্য যদি কোনও বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে চায় তাদের সাহায্য করে থাকে।
অনুসন্ধিৎসু চক্রের কার্যকরী সদস্য আমানুল ইসলাম সজীব বলেন, ‘যদি কোনও ছাত্র বিজ্ঞান প্রজেক্ট করতে চায় কিন্তু কোনও মেন্টর বা বিশেষজ্ঞ খুঁজে পাচ্ছেনা তখন আমাদের সংগঠন থেকে ওই বিষয়ের আমাদের কোনও সদস্যদের যিনি ওই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তাদের সঙ্গে যোগোযাগ করিয়ে দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ক্লাবে বাংলাদেশে সেরা মানের টেলিস্কোপ আছে। যারা শৌখিনভাবে আকাশ দেখতে চায় এবং সূর্য নিয়ে গবেষণা করতে চায় তারা আমাদের সংগঠন থেকে সুযোগ সুবিধা নিতে পারবে।’
কুসংস্কার নিয়ে সংগঠনের কি ধরনের কাজ করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আমানুল ইসলাম সজীব বলেন, ‘সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। সেসব বিষয় নিয়ে করা হয়। এছাড়া অনেক অবৈজ্ঞানিক কোন সমস্যার সমাধান নিয়ে এই সংগঠন কাজ করছে। এছাড়া অনেক আলোচনা সভা জ্যোতির্বিদ্যা ওয়ার্কশপ, বিজ্ঞান বক্তৃতা, প্রকল্প ওয়ার্কশপ, ইলেকট্রনিক্স ওয়ার্কশপ, বিজ্ঞান নিয়ে যারা লেখালেখি করতে চায় তাদের নিয়ে কাজ করি।’
এছাড়া মহাকাশ বিষয়ে যারা গবেষণা করেন এ ধরনের একটি সংস্থার সঙ্গে অনুসন্ধিৎসু যৌথভাবে গত বছর থেকে বাংলাদেশে গাজীপুরের শ্রীপুরে অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে।
বিজ্ঞান বিষয়ে তরুণরা কাজ চাইলে তাদের জন্য কী ধরনের সুয়োগ সুবিধা এই সংগঠন থেকে পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনুসন্ধিৎসু একমাত্র সংগঠন যা মুক্ত চিন্তার জন্য সাহায্য করে। আর যারা কোনও বিজ্ঞান প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে চায় যেমন জ্যোতির্বিদ্যা, ইলেক্ট্রনিক্স ও উড্ডয়ন বিদ্যা এই তিনটি ক্ষেত্রে আমাদের অনেক অভিজ্ঞ লোকজন ও যন্ত্রপাতি আছে। তাই এক্ষেত্রে যারা কাজ করতে চায় তাদের স্বাগতম।’
/এফএএন/