দীর্ঘদিন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে প্রশংসার পাশপাশি পেয়েছেন তার অনুষ্ঠানের অগণিত দর্শক। মিউজিক শো থেকে শুরু করে লাইফস্টাইল শো, রিয়্যালিটি শো এমনকি কনসার্টের আয়োজনেও কাজ করেছেন। শুধু দেশে নয় দেশের বাইরেও নিয়ে গেছেন নিজের প্রতিভাকে, দুবাই এবং যুক্তরাষ্ট্রেও সফলভাবে করেছেন অনুষ্ঠান নির্দেশনা। তার পেশাদারিত্ব স্টুডিওর ভেতর বাহির সবজায়গায় লক্ষ্যণীয়।
তার কিছু জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে রূপচাঁদা সুপার শেফ, মার্কস অলরাউন্ডার, মিউজিক জ্যাম, স্টাইল অ্যান্ড ট্রেন্ড, ওল্ড স্কুল বিটস। বাংলাদেশে রিয়্যালিটি শো নির্মানকারীদের তালিকায় সামনেই রয়েছেন শুভ্র। তার কাজের মাধ্যমে এসেছে রিয়্যালিটি শো’র ভিন্নতা। সবসময় দর্শকদের ভিন্ন কিছু দেওয়ার চেষ্টায় মগ্ন থাকেন তিনি। সচরাচর ধারা অনুষ্ঠানের বাইরে ব্যাতিক্রম কিছু করতে চান সবসময়।
এই প্রশিক্ষণ শুভ্রকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। অনুষ্ঠান নির্মাণে বাজেট একটি বড় ব্যাপার। পর্যাপ্ত বাজেট থাকলে আন্তর্জাতিক মানের অনুষ্ঠান দেশে বানানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। রিয়্যালিটি শো’র ভবিষ্যৎ কেমন বাংলাদেশে? বাংলা ট্রিবিউনের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ বর্তমানে ভালো, আগের থেকে উন্নত। ইন্ডাস্ট্রি বড় হয়েছে, তার সাথে সাথে কাজের মান বাড়ছে। কিছু কিছু কাজ আছে, আন্তর্জাতিক মানের করা সম্ভব , কিন্তু টাকার অভাবে করা যায় না। এধরনের কাজ করার মত সাপোর্ট এবং লোক আছে। বাজেট পেলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।’ অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দুর্বলতা কোন জায়গায় জানতে চাইলে শুভ্র বলেন, ‘ মার্কেট তো এক না, অন্য দেশের কাজে কোটি টাকার বাজেট থাকলেও আমাদের থাকেনা। তাই বাজেট একটা অনেক বড় ফ্যাক্ট এখানে।’ একটি রিয়্যালিটি শো’র সবচেয়ে বড় দুর্বলতা কোন জায়গায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিচারক এবং অংশগ্রহণকারীদের পারফর্মেন্স একটা রিয়্যালিটি শো’র সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। তবে দিন দিন এগুলা কাটিয়ে উঠছে, অংশগ্রহণকারীদের জড়তা কাটছে। অনুষ্ঠানের মান বাড়ানোর লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি যা অব্যাহত থাকবে।