খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঈদের দিন ভোর বেলা এয়ার এরাবিয়ায় মস্কোর উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান যায়ীম। তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শান্তি, সংঘর্ষ এবং মানবাধিকার বিষয়ে লেখাপড়া করছেন। গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণে তিনি সব সময়েই বের হন, কিন্তু এবার উদ্দেশ্যটা ভিন্ন। তার উদ্দেশ্য প্রিয় খেলোয়াড় রোনালদোর খেলা দেখা এবং সেই উদ্দেশ্যে সফল তিনি। এর আগে তিনি সেনেগাল ও পোল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দেখেছেন। এরপর দেখলেন পর্তুগাল ও মরক্কোর ম্যাচ। বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার নেশায় বুদ যায়ীম সারাবিশ্বের মানুষকে বাংলাদেশ চেনানোর জন্য পতাকার উপর বাংলা এবং ইংরেজিতে নাম লিখেছেন। দেশের পতাকা নিয়ে ভিনদেশে প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা অন্যরকম বলে জানান তিনি।
যায়ীম বলেন, এই অনুভূতি মুখে বলে বোঝান সম্ভব না। ভিনদেশিরা পতাকা দেখে মুখে বাংলাদেশের নাম নেয়। অনেকে পতাকা চেনেনা, তাই বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই পতাকার উপরে দেশের নাম লেখা। এই অনুভূতি ভেতর থেকে আসে। আমার জানার ইচ্ছে কতজন বাংলাদেশি দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে ভিনদেশে গিয়ে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে যারা চেনে না তারা অনেকেই আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করে – তুমি কি ইন্ডিয়ান? আমি এপার্টমেন্ট থেকে যখন বের হই তখন পতাকা নিয়েই বের হই। আমাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করে তুমি কি ইন্ডিয়ান, তখন আমি বলি না আমি বাংলাদেশি। আমি যেখানে যেখানে ঘুরেছি আমার ব্যাকপ্যাক কিংবা কোমরে পতাকা সঙ্গে নিয়ে ঘুরি, যাতে মানুষজন দেখে চেনে এটা বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ফ্যানফেস্টে খেলা দেখতে কোনও টাকা লাগেনা। এখানে ফিফার সুভেনিয়ার শপ আছে। এছাড়া ওয়ার্ল্ড কাপে যারা স্পন্সর আছে তাদের সবার ফ্র্যাঞ্চাইজি শপ থাকে। খেলার মাঝখানে যখন ব্রেক থাকে তখন রাশিয়ান ডি জে রা পারফর্ম করে।
ভবিষ্যতে দেশেই প্রতিষ্ঠিত হতে চান তিনি। তার ইচ্ছা চাকরি করার। তিনি আগামী ২৭ জুন দেশে ফিরে আসবেন।