৪০ তরুণের সেন্টমার্টিন পরিচ্ছন্নতা অভিযান

বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন জীববৈচিত্র্যের প্রাচুর্যের জন্যই শুধু বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র নয়, পরিবেশগতভাবেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপটি। তবে অপরিকল্পিত পর্যটনের আগ্রাসনে সেন্টমার্টিন বর্তমানে প্লাস্টিক দূষণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অনিয়ন্ত্রিত ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে পর্যদুস্ত। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পর্যটক ও দ্বীপের অধিবাসীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সম্প্রতি এই দ্বীপে একটি ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে ইউএসএইড এর কম্প্যাস প্রকল্প।

ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে কম্প্যাসের ইয়ুথ কনজার্ভেশন কোর (ওয়াইসিসি) বাংলাদেশ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় থাকা কক্সবাজার ও বান্দরবানের ৪০ জন তরুণ প্রশিক্ষণার্থী সমুদ্র সৈকত থেকে ২০০ ব্যাগ অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করে ও নির্ধারিত স্থানে অপসারণ করেন।

এছাড়াও সচেতনতামূলক বিভিন্ন বার্তা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা দ্বীপের বিভিন্ন সড়কে র‍্যালি করেন। পাশাপাশি  দ্বীপের শিশুদের মাঝে পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে শিক্ষা এবং সচেতনতা বাড়ানোর জন্য স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়েও এই তরুণ প্রশিক্ষণার্থীরা তথ্য বিনিময় করেন। ওয়াইসিসি শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেন প্রশিক্ষণার্থীরা।

এই ক্যাম্পেইনকে স্বাগত জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবস্থিত পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ এবং সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। 

উল্লেখ্য, ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস এবং ইউএসএইড এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত কমিউনিটি পার্টনারশিপ টু স্ট্রেনদেন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ওয়াইসিসি কক্সবাজার এবং বান্দরবানের তরুণদের নিয়ে কাজ করছে। গত তিন বছর ধরে ওয়াইসিসি স্থানীয় সংস্থা ইপসা, এআইটি কক্সবাজার, তাজিংডং এবং গ্রিন সেভার্স এর সহযোগিতায় প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণসহ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। সাধারণত ১৮-২৪ বছর বয়সী সুবিধাবঞ্চিত তরুণরা ওয়াইসিসির এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।