X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে ১৩ বছরে সর্বনিম্ন লেনদেন

গোলাম মওলা
০৬ জুন ২০২০, ০০:৫৫আপডেট : ০৬ জুন ২০২০, ০১:০০

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে মাত্র ৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই বাজারে কেবল লেনদেনই কমেনি, কমে গেছে সূচকও। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট।  এর আগে ২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিল ডিসইএতে ৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক রকিবুর রহমান।

রকিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত নয় বছর ধরে শেয়ারবাজারে অনিয়ম হয়েছে। অনাচার হয়েছে। যার প্রভাবে লেনদেন মারাত্মকভাবে কমে গেছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান আসায় এই বাজারের বিনিয়োগকারীরা আশাবাদী।’

তিনি বলেন, ‘নয় বছর ধরে বাজারের প্রতি আস্থা কমেছে। সেই আস্থা ফিরে পেতে দু-এক মাস লাগবেই। ধীরে ধীরে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’

করোনা মহামারির কারণে ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত রবিবার লেনদেন শুরু হয় শেয়ারবাজারে। এর আগে ২৫ মার্চ শেষ লেনদেন হয়েছিল। লেনদেন চালু হয়ে প্রথম দিন ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৫২ পয়েন্ট। এরপর চার কার্যদিবসেই সূচক কমেছে। একই সঙ্গে গতি খুবই কম লেনদেনের পরিমাণে। শেয়ারের দাম কমার কারণে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীদের দুই হাজার কোটি টাকা হাতছাড়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) নির্ধারণ করে দেওয়ার কারণে এই লেনদেন খরা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসের কাছাকাছি রয়েছে। এতে দাম কমার সুযোগ না থাকায় ওসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হচ্ছে না। ফলে সার্বিকভাবে বাজারে লেনদেন কম হচ্ছে। অবশ্য এই ফ্লোর প্রাইসের কারণে বড় ধসের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে এই বাজার।

লেনদেন শুরুর প্রথম দিনই (৩১ মে) দুই বাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। এতে বিনিয়োগকারীরা ভালো বাজারের স্বপ্ন দেখতে থাকেন। কিন্তু পরের দিনই পতনের কবলে পড়ে শেয়ারবাজার, যা সপ্তাহের পরের তিন কার্যদিবসও অব্যাহত থাকে। এতে সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই দরপতন হয়। এই দরপতনের কবলে পড়ে সপ্তাহটিতে ডিএসই বাজার মূলধন হারিয়েছে ২ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা।

এদিকে, বিনিয়োগকারীরা বড় অঙ্কের অর্থ হারানোর পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৫ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট কমেছে। সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৯১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৩৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ হওয়ার আগে শেষ সপ্তাহে মোট লেনদেন হয় ৮৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এতে গড়ে প্রতি কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২২১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ কমেছে।

/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
১০ মাসে এলো রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স
১০ মাসে এলো রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
টেকনাফে অপহরণের শিকার একই পরিবারের ৩ জনকে উদ্ধার
টেকনাফে অপহরণের শিকার একই পরিবারের ৩ জনকে উদ্ধার
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে