X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাজেটে এভিয়েশন ও পর্যটন খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর আশ্বাস মেননের

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৩ মে ২০১৭, ১৮:০৭আপডেট : ০৩ মে ২০১৭, ১৮:১৪

এভিয়েশন ও পর্যটন খাত নিয়ে প্রাক বাজেট আলোচনায় পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ অতিথিরা

আসন্ন বাজেটে এভিয়েশন ও পর্যটন খাতে বরাদ্দ বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। বুধবার  (৩ মে) রাজধানীর মহাখালীতে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি)-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ খাতের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আসন্ন বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি উঠলে তা সমর্থন করেন উভয় মন্ত্রী। তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন।

আলোচনায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা প্রস্তাব করেছেন এ দুটি খাতকে গুরুত্ব দিলে দেশ আরও বেশি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবে।

এর জবাবে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন পর্যটনখাতের ব্যবসায়ীদের ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড  দেওয়ার  উদ্যোগের নেওয়া হবে বলে জানান

এ মত বিনিময় সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, আমরা এমন কিছু করতে পারিনি যে সরকার পর্যটন খাতকে বেশি গুরুত্ব দেবে। তবে গত কয়েক বছরে এ খাত অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

মেনন বলেন, পর্যটন খাতে প্রণোদনা প্রয়োজন। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবো। এভিয়েশনের খাতে জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়ে আমরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। জ্বালানি তেলের মূল্যের সমন্বয় সাধন করা প্রয়োজন। সারচার্জ ও ল্যান্ডিং চার্জ নিয়েও কাজ চলেছে। পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে আরও বেশি সচেতনতা বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ নিয়ে অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে। আমরা বরাদ্দ ঠিক করি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড়ের জন্য আটকে থাকে এমন ধারণাও ভুল। পর্যটন খাতে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির বিষয়টিও আমরা বিবেচনা করবো। এভিয়েশন খাতে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফারুক খান বলেন, ট্যাক্সের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের পর্যটন খাতকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। পর্যটন খাতে ইনসেনটিভ দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। পর্যটন খাতে শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা দেওয়া উচিত। পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীদের পুরস্কৃত করাসহ সিআইপি ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা উৎসাহী হবেন। 

এভিয়েশন ও পর্যটন খাত নিয়ে প্রাক বাজেট আলোচনায় বক্তব্য রাখছেন পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন

তিনি রাজস্ব বোর্ডের সমালোচনা করে বলেন, এনবিআর এর একটা মানসিকতা হচ্ছে তারা মনে করে সবাই কর ফাঁকি দেয়। সংস্থাটিকে এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা এখনও পর্যটন ও এভিয়েশন ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে যেতে পারিনি। তবে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এ খাতে ট্যাক্স হলিডেসহ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে যারা বিদেশি পর্যটক নিয়ে আসেন তাদের জন্য বিশেষ ট্যাক্স ছাড়ের উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এতে এ খাতের সঙ্গে সম্পৃক্তরা উৎসাহ পাবেন।

আলোচনায় পর্যটন খাতের বরাদ্দকৃত অর্থ সময়মতো ছাড় দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় উপস্থিত নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে  এয়ারলাইন্সগুলোর সমস্যার অন্ত নেই। বিশেষ করে উড়োজাহাজের জ্বালানির মূল্য অত্যন্ত বেশি। অথচ আমাদের পাশের দেশে আমাদের চেয়ে কম দামে জ্বালানি তেল পাওয়া যায়। এই অতিরিক্ত দামের জন্য বিদেশি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা আমাদের কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দেশি এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য সরকারের আরও বেশি সহায়তা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনা সভায় আসন্ন বাজেট উপলক্ষে টোয়াবের দেওয়া প্রস্তাবনা তুলে ধরেন টোয়াবের পরিচালক ও প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল লিমিটেড (পিএটিএ) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব তৌফিক রহমান। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকরী পর্যটন সংস্থাগুলোর জন্য করমুক্ত যানবাহন আমদানির অনুমোদন, টোয়াবের সদস্যদের বিশেষ বিবেচনায় ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর নিশ্চয়তা, ট্যুর অপারেটরদের সম্মানজনক হারে প্রণোদনা দেওয়া এবং কারনেট’র মাধ্যমে ক্রস বর্ডার ট্যুরিজম সেবা দেওয়া।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, বাংলাদেশকে   এভিয়েশন  হাব হিসেব করা সম্ভব । কিন্তু বাংলাদেশে ট্রানজিট যাত্রীদের ২১ ডলার ট্রানজিট ফি দিতে হয়। অথচ বিশ্বের অনেক দেশে ট্রানজিট ফি দিতে হয় না। বাংলাদেশকে হাব করতে হলে এ বিষয়টিও বিবেচনা করা জরুরি।

এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সভাপতি নাদিরা কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  বক্তব্য রাখেন টোয়াবের সভাপতি তৌফিক উদ্দিন, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ (আটাব) সভাপতি এসএন মঞ্জুর মোর্শেদ, মহাসচিব আব্দুস সালাম, মনিটর সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম ও এটিজেএফবি’র সাধারণ সম্পাদক তানজিম আনোয়ার প্রমুখ। 

/সিএ/টিএন/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দলের সিদ্ধান্ত না মেনে ভোটে আছেন মন্ত্রী-এমপির যেসব স্বজন
উপজেলা নির্বাচনদলের সিদ্ধান্ত না মেনে ভোটে আছেন মন্ত্রী-এমপির যেসব স্বজন
টিভিতে আজকের খেলা (২৪ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৪ এপ্রিল, ২০২৪)
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক