X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিআইবিএমের প্রতিবেদন: ব্যাংকের সংখ্যা কমানোর পক্ষে ৭২ % ব্যাংকার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১২ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৩৩আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৩৬

বিআইবিএম-এর গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে অতিথিরা

৭২ শতাংশ ব্যাংক কর্মকর্তা মনে করেন বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ ব্যাংক রয়েছে তা কমাতে হবে।  বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি  বৃহস্পতিবার( ১২ অক্টোবর) প্রকাশ করা হয়।

 রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে এক্সপ্লোরিং মার্জার অ্যান্ড অ্যাকুইজিশন ইন দ্য কনটেক্স অব দ্য ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালায় এই  প্রতিবেদনটি  উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক মো. মহিউদ্দিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী। 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণার জরিপে অংশ নেওয়া ব্যাংকারদের মধ্যে ৭২ শতাংশ ব্যাংকের সংখ্যা কমানোর পক্ষে মত দিলেও ১১ শতাংশ মনে করেন ব্যাংকের বর্তমান সংখ্যা ঠিক আছে। জরিপের এই প্রশ্নে মন্তব্য করতে রাজি হননি ১৭ শতাংশ ব্যাংকার।

প্রতিবেদনের জরিপে ব্যাংক একীভূতকরণের বিষয়েও প্রশ্ন রাখা হয় ব্যাংকারদের কাছে। তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংক একীভূতকরণের ক্ষেত্রে যে সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো- সুশাসনের অভাব, বোর্ডের গোপন সুবিধা, রাজনৈতিক দুর্বলতা, মানসিকতার পরিবর্তন, পরিচালকদের দুর্বলতা, নেতৃত্ব এবং কৌশলগত চ্যালেঞ্জ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে  বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে ব্যাংক একীভূতকরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।তবে  বাংলাদেশে এ ধারণা  কিছুটা  নতুন। তবে একীভূতকরণের ব্যাপারে সব সময় আমরা প্রস্তুত আছি। এ বিষয়ে আমরা একটা গাইডলাইন করেছি। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, বিদেশে ব্যাপকহারে একীভূতকরণ হচ্ছে। সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বড় হওয়ার জন্য মার্জার করে থাকে। তবে আমাদের দেশে ছোট ব্যাংকগুলোর ধারণা, বড়দের সঙ্গে মার্জার হলে বড়রা তাদের খেয়ে ফেলবে। এক্ষেত্রে তারা বিডিবিএলকে উদাহরণ হিসেবে দেখেন। কিন্তু, বিডিবিএল-এর ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে সেটা হলো দুটো খারাপ প্রতিষ্ঠান মিলে নতুন একটি খারাপ প্রতিষ্ঠানের জন্ম দিয়েছে। 

বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি এক্সিট পলিসি (বহির্গমন নীতি) থাকা দরকার। কোনও ব্যাংক খারাপ করলে তাকে এ নীতির মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, একীভূতকরণ সবসময় খারাপ হয় না। এর ইতিবাচক দিকগুলো দেখতে হবে। আমাদেরকে গ্লোবালাইজেশনের অংশ হতে হলে একীভূতকরণেও যেতে হবে। 

বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইয়াছিন আলি বলেন, সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো চালাতে না পারে তাহলে এগুলো  প্রাইভেট সেক্টরে ছেড়ে দেওয়া উচিত। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে আর্থিক খাতের ৮০ শতাংশ সমস্যা সমাধান সম্ভব।

/জিএম/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পঞ্চম বারের মতো কমলো সোনার দাম
পঞ্চম বারের মতো কমলো সোনার দাম
নেত্রীর জন্য জান দেবেন আর সিদ্ধান্ত মানবেন না, সেটা উচিত না: দীপু মনি
নেত্রীর জন্য জান দেবেন আর সিদ্ধান্ত মানবেন না, সেটা উচিত না: দীপু মনি
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই বন্ধ করতে পারে: আব্বাস
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই বন্ধ করতে পারে: আব্বাস
টেন মিনিট স্কুলে বিকাশ পেমেন্টে ক্যাশব্যাক
টেন মিনিট স্কুলে বিকাশ পেমেন্টে ক্যাশব্যাক
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে