বজ্রাঘাত থেকে পরিত্রাণের স্থায়ী কোনও সমাধান নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। তিনি বলেন, ‘কেবল জনসচেতনতা বৃদ্ধিই পারে প্রাণহানির পরিমাণ কমাতে।’ বুধবার (৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে ঢাকা জেলা ও আইডিইবি শিক্ষা ও গবেষণা সেল আয়োজিত ‘বজ্রপাতজনিত ভয়াবহতা মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে জানানো হয় মার্চ থেকে জুন—এই চারমাস দেশে বজ্রাঘাতের ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। দেশের সুনামগঞ্জকে সব থেকে বেশি বজ্রপাতপ্রবণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবছর বিশ্বে ২০ হাজার মানুষ বজ্রাঘাতে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশে গড়ে বছরে ১৩০ জন মানুষ বজ্রাঘাতে মারা যান বলে সেমিনারে জানানো হয়।
আইডিইবি-এর ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি মো. খবির হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঢাবির অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব, আইডিইবির সভাপতি একে এম এ হামিদ, সংগঠনের ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মান্নান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিইবি-এর শিক্ষ ও প্রশিক্ষণ সেলের উপ-পরিচালক ইয়াকুব হোসেন সিকদার। মূল প্রবন্ধে বজ্রাঘাতের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধে সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানি এক মিটার উচ্চতায় উঠে গেলে বজ্রপাতের পরিমাণ বেড়ে যাবে। তাপমাত্রা প্রতি এক ডিগ্রি বাড়লে বজ্রপাত ১০ শতাংশ হারে বাড়বে। গত সাত বছরে দেশে বজ্রাঘাতে এক হাজার ৪০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নাসার হিসেবে প্রতি সেকেন্ডে বিশ্বে ৪০ থেকে ১০০টি বজ্রপাত ঘটে থাকে। বাংলাদেশ একটি বজ্রপাতপ্রবণ দেশ।