অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ— এই অর্জন শুধু ধরে রাখাই নয়, আগামী ৫ বছরে এটি ডাবল ডিজিট হবে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেঞ্জি টিরিঙ্ক এবং আইএফসি কান্ট্রি ম্যানেজার উইনডি উইনারের সঙ্গে পৃথক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন খাতে দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছেন। এ প্রসঙ্গ জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেখছেন, আমিও সেভাবে দেখছি। আমরা যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছি তার শতভাগ গুণগত মান নিশ্চিত করতে পারছি না। সেখানে ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে। এসব কারণে কিছু প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে উন্নয়ন কাজের অপব্যবহার যেন সীমা অতিক্রম না করে, সে ব্যাপারে চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ইইউ রাষ্ট্রদূত চলমান প্রকল্পে আরও কাজের আগ্রহ দেখিয়েছেন। তিনি কিছু চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন। রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছেন, প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ কীভাবে ধরে রাখা সম্ভব। আমি বলেছি, স্বাভাবিক গতিতে আমরা প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ অর্জন করেছি। প্রবৃদ্ধি ৮ থেকে ১০ শতাংশে নেওয়ার ক্ষেত্রে পথ হিসেবে বলেছি, এর মধ্যে বিভিন্ন অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এগুলো থেকে রিটার্ন আসবে আগামী বছর থেকে। রিটার্ন পাওয়া আরম্ভ করলে প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। এছাড়া এক পদ্মা সেতুই ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্যে করবে। এসব শুনে তিনি বলেছেন, হ্যাঁ, এটি সম্ভব।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি (রাষ্ট্রদূত) বলেছেন, তারা বিশ্বাস করেন, রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে চলে যাওয়া দরকার। এ ব্যাপারে তারা ভূমিকা রাখবেন। সারাবিশ্বকে একসঙ্গে নিয়ে এর সমাধান করতে পারি, সেই বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, উন্নয়ন কাজের ১ শতাংশ অপব্যবহার কমাতে পারলে আড়াই হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা যেতে পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বলছেন এই সংখ্যা, তারা এত সঠিক কীভাবে পেলেন, আমার জানা নেই। বিষয়টি সঠিক নয়। তবে অপব্যবহারের পরিমাণ কীভাবে কমানো যায়, সে চেষ্টা করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা পদ্মা সেতু করছি, কর্ণফুলি টানেল ও এমআরটি (মেট্রোরেল) করছি, এগুলো তো স্বপ্ন। এখানে এগুলো বাস্তবায়নের বাস্তব অভিজ্ঞতা কারও ছিল না। সুতরাং এখানে কিছুটা মিস-ইউজ হতে পারে। এটাকে ধরে নিয়ে কাজ করতে হবে। এটা ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় হয়েছে। অন্যান্য দেশেও হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।