বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এখন বাংলাদেশেও। ব্যক্তিগতভাবে এই ঝুঁকি এড়াতে দেশের সাধারণ মানুষ সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করছে। শুধু তাই নয়, মানুষজন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করছেন জনসমাগম এড়িয়ে। রাজধানীর কাওরান বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) কাওরান বাজার ঘুরে দেখা— ক্রেতা না থাকায় দোকানিদের অনেকেই বসে বসে ঝিমুচ্ছেন, কেউ শুয়ে আছেন, কেউ মোবাইলে গেম খেলছেন,আবার কেউবা গান গেয়ে সময় পার করছেন। খুচরা ও পাইকারি দুই ধরনের ব্যবসায়ীই বসে বসে দিন
কাটাচ্ছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি, চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, রসুনসহ সব ধরনের পণ্য থাকলেও বিক্রি নেই, তাই গল্পগুজবে সময় যাচ্ছে তাদের। দোকানিদের বক্তব্য হলো- শুক্রবার ছুটির দিনে কাওরান বাজারে সাধারণত ক্রেতাদের বেশি ভিড় থাকে। কিন্তু আজ তার উল্টো।
ব্যবসায়ীরা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে ক্রেতারা আগের মতো বাজারের আসেননি। ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় ক্রেতারা হয়তো জনসমাগম এড়িয়ে চলছেন।
রফিক নামের সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘সকালের দিকে কিছু লোক এসেছিল। তবে বিকালে একবারেই ফাঁকা।’ তিনি জানান, সাধারণত মাসের ১০-১২ তারিখের দিকে ক্রেতাদের সমাগম বেশি থাকে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই ক্রেতাদের সংখ্যা কম।
শুক্রবার বিকালে ক্রেতা প্রায় শুন্যতে নেমে এসেছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে আতঙ্কিত না হয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সবাইকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানো হয়।
শুক্রবার বিকালে কাওরান বাজারে হাতে গোনা যে কয়েকজন ক্রেতাকে দেখা গেল, তারা বলছেন, খুব প্রয়োজন না হলে তারা বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না।
ক্রেতা না থাকায় সবজি ব্যবসায়ী রোকন বসে বসে মোবাইলে গেম খেলছেন। তিনি বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি, তবে ক্রেতা কম আসছে।’
ক্রেতা না থাকায় মোবাইলে গান গেয়ে সময় পার করছেন পেঁয়াজ, আদা ও রসুন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘ক্রেতা নেই, তাই গান গেয়ে সময় কাটাচ্ছি।’
দোকানিদের অনেককে আবার সর্তকতার অংশ হিসেবে মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা যায়। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ পেঁয়াজ পরিষ্কারের কাজে ব্যস্ত ছিলেন।