X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী বছরেই অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব কেটে যাবে!

গোলাম মওলা
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:১৯আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২৩:২৪

করোনা টেস্ট (ছবি: ফোকাস বাংলা)

দেশের অর্থনীতি আগামী বছরেই ফের ঘুরে দাঁড়াবে। ২০২১-২২ অর্থবছরে অর্থনীতি থেকে করোনার প্রভাব কেটে যাবে। সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার খসড়ায় এমনটিই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, করোনা মহামারির মাঝে জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে বাড়িয়ে। আগামী ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮.৫১ শতাংশ।

খসড়া পরিকল্পনায় করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য, কৃষি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নসহ বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। খসড়া পরিকল্পনাটির ওপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত চাওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে  পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম বলেন, ‘অর্থনীতির গতি বাড়তে শুরু করেছে। আশা করা যায়, আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব অনেকটাই কেটে যাবে। ফলে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন কঠিন হবে না।’

এদিকে খসড়া পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, যেহেতু সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি উন্নতি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে, সেহেতু ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি অর্জনের এই লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। পরের অর্থবছর তথা ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। তারপরের বছর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং পরিকল্পনার শেষ অর্থবছর ২০২৪-২৫ এ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

খসড়া পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা না থাকলে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হতো ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।

খসড়ায় আরও বলা হয়, করোনা মহামারি দেশের মানুষের জীবন এবং সম্পদের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ অবস্থায় মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জনগণের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যসেবা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা শক্তিশালীকরণ, জেলা পর্যায় পর্যন্ত মানসম্মত ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

খসড়ায় আরও বলা হয়, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির শক্তিশালী বাস্তবায়ন এবং দারিদ্র্য কমানোর মতো কর্মসূচি যুক্ত করা হবে।  তবে  কর্মসংস্থান সৃষ্টি একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। কারণ, দেশের ৮৫ শতাংশ কর্মসংস্থানই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। এক্ষেত্রে ধীরে ধীরে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান বাড়ানোর প্রচেষ্টা থাকবে।

 

 

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নির্মোহ মূল্যায়নের খোঁজে জাসদ
নির্মোহ মূল্যায়নের খোঁজে জাসদ
সাফজয়ী ভাইয়ের সঙ্গে লড়াই, নেই কোনও ছাড়
সাফজয়ী ভাইয়ের সঙ্গে লড়াই, নেই কোনও ছাড়
বিয়ে না করানোয় মাকে হত্যা
বিয়ে না করানোয় মাকে হত্যা
ব্রাজিলের জার্সিতে এই বছরই শেষ মার্তার
ব্রাজিলের জার্সিতে এই বছরই শেষ মার্তার
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী