X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভর্তুকি না পেলে এলএনজি আমদানিতে তহবিল সংকটে পড়বে পেট্রোবাংলা

সঞ্চিতা সীতু
১১ নভেম্বর ২০২১, ১৯:৩০আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২১, ১৯:৪৬

এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানিতে ভর্তুকির টাকা না পাওয়া গেলে এ মাসেই পেট্রোবাংলার তহবিলে টান পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত ৪ নভেম্বর পেট্রোবাংলা থেকে চিঠি দিয়ে এই শঙ্কার কথা জ্বালানি বিভাগকে জানানো হয়েছে।

জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিভাগের এক বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা করা হয়। বৈঠকে এলএনজির ভর্তুকির অর্থ সংস্থানের নির্দেশ দেন জ্বালানি সচিব আনিসুর রহমান।

বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, সচিব বলেছেন প্রয়োজনে অর্থ বিভাগে যোগাযোগ করে এলএনজির ভর্তুকির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

সব শেষ খোলা বাজারে এলএনজির দর উঠেছে প্রতি এমএমবিটিইউ (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) ৩৯ ডলার। বাড়তি দরে এলএনজি কেনার জন্য অর্থ বছরের মাঝামাঝি এসে সরকারকে বড় ভর্তুকি দিতে হবে। তবে শীতে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ায় কম এলএনজির প্রয়োজন পড়বে। ফলে ওই সময়ে কিছুটা সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি প্রয়োজন হবে বলে জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়।

এই ভর্তুকির প্রায় পুরোটাই পেট্রোবাংলা এবং গ্যাস বিপণন কোম্পানির তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগে বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও অর্থ ছাড় না করার অভিযোগ করছে জ্বালানি বিভাগ।

জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, এর আগেও আমরা কয়েক দফা অর্থ বিভাগে যোগাযোগ করেছি। চিঠি দিয়ে, এমনকি নিজেরা গিয়েও দেনদরবার করেছি, কিন্তু তারা কোনোভাবেই এলএনজি আমদানির ভর্তুকি দিতে সাড়া দিচ্ছে না। বাড়তি দরে এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে বিরাট অঙ্কের লোকসান করছে পেট্রোবাংলা। এখন পেট্রোবাংলার তহবিলে আর টাকাও নেই, যা দিয়ে ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব। নভেম্বর থেকেই সংকট শুরু হবে বলে শঙ্কার কথা পেট্রোবাংলা চিঠিতে জানিয়েছে।

এখন দেশে মোট ব্যবহৃত গ্যাসের মধ্যে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ হচ্ছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এলএনজি আমদানির জন্য সরকার আরও দুটি চুক্তি করতে যাচ্ছে। এতে দেশে এলএনজি আমদানি আরও বাড়বে। ফলে তখন আরও বেশি ভর্তুকির প্রয়োজন হবে।

এ প্রসঙ্গে জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিভাগের অন্য এক কর্মকর্তা জানান, আমরা ইতোমধ্যে বর্ধিত এলএনজি আসা শুরু হলে কি পরিমাণ ভর্তুকি প্রয়োজন হবে সে বিষয়ে একটি হিসাব করার নির্দেশ দিয়েছি। বছরে সাত লাখ টন এলএনজি আমদানির ক্ষমতা থাকলেও এখন চার লাখ টন আমদানির জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে। বাকি তিন লাখ টন এলএনজি খোলা বাজার থেকে আমদানি করা হচ্ছে। এর ফলে এলএনজির দাম বেশি পড়ছে। খোলা বাজার থেকে এলএনজি কেনা বন্ধ হলে ভর্তুকিও কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, গ্রাহক গ্যাস বিলের সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেয়। সেই অর্থই পেট্রোবাংলার কাছে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল হিসেবে জমা থাকে। সেখান থেকেই এলএনজির বেশিরভাগ দেনা মেটানো হয়। এখন সেই তহবিলেও টান পড়েছে।

/এমএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বিমানবন্দরে বাস, প্রকৌশলী নিহত
থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বিমানবন্দরে বাস, প্রকৌশলী নিহত
ভারত-পাকিস্তান টেস্ট হবে দারুণ: রোহিত
ভারত-পাকিস্তান টেস্ট হবে দারুণ: রোহিত
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ