গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার চিহ্নিত করে তা উচ্ছেদের অংশ হিসেবে গত ৯ মাসে ৪০ হাজারেরও বেশি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। মঙ্গলবার (১৭ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় পরিচালিত নিয়মিত অভিযানে মোট ৪০ হাজার ৩৪৫টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২৫৫টি শিল্প, ২১৭টি বাণিজ্যিক ও ৩৯ হাজার ৮৭৩টি আবাসিক সংযোগ। একইসঙ্গে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ৮৮ হাজার ২৯৩টি বার্নার এবং অপসারণ করা হয়েছে ১৭৪ কিলোমিটার গ্যাস পাইপলাইন।
তিতাস জানায়, গ্যাসের অপব্যবহার রোধে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। এর অংশ হিসেবে সর্বশেষ ১৬ জুন (সোমবার) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
ওই দিন বনানীর এফ ব্লকের রোড নম্বর ০৪-এ অবস্থিত আঞ্জুরা বিল্ডিংয়ের তিনটি হোটেলে বাণিজ্যিক গ্যাস সংযোগ পাওয়া গেলে সেখানে প্রি-ডেলিভারি চেক (পিডিসি) কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এছাড়া, টিঅ্যান্ডটি মহিলা কলেজের পশ্চিম পাশে পরিত্যক্ত একটি রাইজারের মাধ্যমে প্রায় ১৫০টি ডাবল চুলায় অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার হচ্ছিল। এতে সংযোগ বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি ৩২০ ফুট প্লাস্টিক টিউব সার্ভিস লাইন অপসারণ করা হয়।
টিঅ্যান্ডটি কলোনির কালভার্টের পাশের একটি পানি হাউজ হোটেলে এবং আশপাশের আনুমানিক ২০০টি আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনায় অবৈধ প্লাস্টিক পাইপের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করায় সেসব সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এছাড়া বিটিসিএল কলোনি সংলগ্ন এলাকাতেও অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৫০০টি আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ১০০ ফুট সার্ভিস লাইন অপসারণ এবং সোর্স পয়েন্ট থেকে লাইন কেটে দেওয়া হয়। অভিযানে বিভিন্ন ব্যাসের ৬০৮ ফুট পাইপ, ৩২০ ফুট প্লাস্টিক টিউব, তিনটি রেগুলেটর ও তিনটি লক উইং কক জব্দ করা হয়েছে।
একই দিনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ত্রিশকাহনিয়া, হান্ডিমার্কেট, কাঞ্চন ও রূপগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। এসব অভিযানে মোট ২২৭টি বাড়ির ৪০৪টি আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ১৬৯ ফুট পাইপ অপসারণ করা হয়েছে বলে তিতাস জানিয়েছে।