X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

একা একটি সরকার!

ফজলুল বারী
২৮ এপ্রিল ২০১৬, ১৩:৩৪আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০১৬, ১৪:২৯

ফজলুল বারী বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আর গণজাগরণ মঞ্চ সৃষ্টির আগে কিন্তু দেশে চলতি আস্তিক-নাস্তিক সমস্যা, রামদা কোপাকুপি, ধর্মের নামে গলা কেটে মানুষ হত্যা- এসবের এতোটা প্রকোপ ছিলো না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলে এটিকে মেলাইন করতে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির চক্র আর তাদের দোসররা শোরগোল তুললো দেশের ধর্মীয় নেতাদের আক্রোশমূলক বিচার-ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে! যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার বিতর্কিত রায় প্রত্যাখ্যান করে গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃত্ব গণজোয়ার গড়ে উঠলে চমকে যায় দেশের প্রচলিত রাজনীতি! আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের নেতারা কখন সে মঞ্চে অন্তত একবার নিজের খোমা দেখাতে পারবেন তা নিয়ে অনুনয়-প্রতিযোগিতায় পড়ে যান! এতবড় রেডিমেট একটি জনসমুদ্রে খোমা দেখাতে খুব স্বাভাবিকভাবে ‘বড় সাধ জাগে’ যে কোনও রাজনীতিকের। কারণ প্রথম দিকে সে মঞ্চে কোনও রাজননৈতিক নেতাকে উঠতে দেওয়া হচ্ছিলো না। রাজনীতিক আর প্রচলিত প্রধান ছাত্র সংগঠনের নেতাদের মঞ্চে না দেখে ‘বানের লাহান’ মানুষ সেখানে গিয়েছিল। বিশেষ কিছু ছাত্র নেতাকে মঞ্চে দেখে মানুষ আস্তে আস্তে সেখান থেকে সরে যেতে শুরু করে।
শাহবাগ কেন্দ্রিক গণজোয়ারে হতভম্ব জামায়াত আর কিছু না পেয়ে গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যাক্তাদের ‘নাস্তিক’ আখ্যা দিয়ে হেফাজতকে মাঠে নামায়! বিএনপি প্রথম এই মঞ্চে ওঠার অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাতে সফলকাম হতে না পেরে রেগেমেগে খালেদা জিয়া হুংকার ছুঁড়ে বলেন, ‘শাহবাগে কীসের গণজাগরণ হয়েছে। ওখানেতো কিছু নাস্তিকের মেলা বসেছে! তারা সেখানে বেলেল্লাপনা করে, গাঁজা খায়’ ইত্যাদি! ব্যাস, এরপরই শুরু হয়ে গেলো নাস্তিক হত্যার নামে মানুষ জবাই! যা এখনও চলছে। কাজেই এই জবাই পর্ব উদ্বোধন করার কৃতিত্ব খালেদা জিয়া নিতেই পারেন। হেফাজতের তিনিও ছিলেন অন্যতম মদদদাতা। পতিত স্বৈরাচারী এরশাদও উস্কানির দায় এড়াতে পারেন না। খালেদা-এরশাদের উস্কানিতে সাহস বেড়েছে গুপ্তঘাতক জবাই বাহিনীর। খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার গণজাগরণ মঞ্চ বিরোধী খুনে বাহিনীকে সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন নেপথ্যে।

গণজাগরণ মঞ্চকে ধংস করতে প্রথম জবাইয়ের শিকার হন ব্লগার রাজীব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই ঘটনার পর রাজীবের বাসায় ছুটে গিয়েছিলেন। গণভবনের মাঠে মোমবাতি জ্বালিয়েছিলেন নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিটি দাবি তিনি অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করবেন। গণজাগরণ মঞ্চে গিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। কিন্তু মতিঝিলে হেফাজতের তাণ্ডবের পর নীতি পাল্টায় সরকার! হেফাজতকে তোষামোদ, গণজাগরণ মঞ্চেকে দুর্বল করার নীতি নেয়!

 আরও পড়তে পারেন: চাপাতি রাজত্ব

সরকারের মনে এমন ভয় ঢুকে যায় যে তাদের কেউ যেন আবার নাস্তিক তকমা দিয়ে না দেয়! অভিজিৎ রায় হত্যার পর ব্লগার খুন ইস্যুতে বিদেশি মিডিয়ায় একটি বক্তব্য দেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এতে সরকারের নীতি বদলের আভাস ছিল!

অধ্যাপক জাফর ইকবাল জয়ের ওই বক্তব্যের বিরোধিতা করে লিখলে সিলেট থেকে তাকে বিতাড়নের দাবিতে মিছিল হয় আওয়ামী লীগের ফেঞ্চুগঞ্জের রাজাকারপুত্র এমপির নেতৃত্বে! এরপর প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এরা নাস্তিক্যবাদ নিয়ে লেখালেখির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে থাকেন! একেকটি হত্যাকাণ্ডের পর নিহতদের তুলোধুনো খুনীদের মৃদু ভর্ৎসনার নীতি নেয় সরকার! এতে করে হতভম্ব হয়ে পড়েন অনেক আওয়ামী লীগ সমর্থক বুদ্ধিজীবীও! কারণ এই আওয়ামী লীগকে তাদের অচেনা মনে হয়! এই বুদ্ধিজীবীদের অনেকের আজকালের আরেক রোগ হলো, পাছে শেখ হাসিনা অথবা আওয়ামী লীগ যদি রাগ হন, এই আশংকায় তারা এখন আর মুখ ফুটে সত্য কথাটি বলেন না অথবা লিখেন না! জাফর ইকবালের ঘটনায় তাদের কারও কারও মনে মান-ইজ্জত খোয়ানোর ভয়ও ঢুকে যেতে পারে।

অথচ যুগে যুগে প্রকৃত বুদ্ধিজীবীদের কাজটাতো হলো-ছিল তাদের বুদ্ধি বিবেক দিয়ে যা কিছু মনে হবে প্রকৃত সত্য, তা বলে বা লিখে  তুলে ধরবেন। বাংলাদেশ এই দিকটাতেও এখন বিশেষ এক শূন্যতায় ভারাক্রান্ত! বেশকিছু দলবাজ বুদ্ধিজীবী আছেন। স্বাধীন বুদ্ধিজীবী কম। এমন এক পরিস্থিতিতে এলোমেলো একা একটি সরকার বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে হেফাজত বশীকরণে সফল হলেও তাদের নেতৃত্বের সময়ে স্বাধীন মুক্তবুদ্ধির চর্চা যারা করেন বা করতেন তাদের জন্যে এখন এক আতঙ্কের দেশ বাংলাদেশ! চাপাতির নিচে কার কখন গর্দান যায় এ নিয়ে তাদের অনেকে আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। অনেকে এর মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। দুর্ভাগ্যজনক সত্য হলো- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষের মুক্ত চিন্তার মানুষের জন্য এখন বিপদজ্জনক বাংলাদেশ’ এই তকমাটি এলো মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন আওয়ামী লীগ সরকারের ললাটে! সব ধর্ম-মতের দেশ গড়ার প্রত্যয়ে এবং আশা দেখিয়ে যারা একদিন দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে নিয়ে গিয়েছিল! এই দেশটা এখন আর সব মানুষের সমান অধিকারের দেশ না। ধর্মের নামে খুন-খারাবী করা একদল বেপরোয়া গুপ্তঘাতকের চাপাতির থাবার নিচের সন্ত্রস্ত এক দেশ!

আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশের বহু মানুষ বিচার পায় না: প্রধানমন্ত্রী

হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার রক্তাক্ত বিরোধিতা করে এটিকে মোল্লা রাষ্ট্র পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত রাখতে চেয়েছিল জামায়াত। আজ পর্যন্ত সে হাল তারা ছেড়ে দেয়নি। কখনও জেএমবি, কখনো হেফাজত অথবা আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, এমন নানা নামে তারা এটিকে এখনও মোল্লা রাষ্ট্র বানানোর পাঁয়তারা করেই যাচ্ছে! বিএনপি তাদের বড় দোসর-আমব্রেলা। নিজেদের ধর্ম নিরপেক্ষ চরিত্র হারিয়ে ফেলায় আওয়ামী লীগ এদের রাজনৈতিক মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হওয়াতে এবং গ্রহণযোগ্য বিকল্প না থাকায় বাংলাদেশের কবি-লেখক-সাহিত্যিক-শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মী-সংগঠকদের বড় অংশ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক অথবা ঘনিষ্ঠ।  আওয়ামী লীগ যখন বিরোধীদলে থাকে তখন এটি বেশি দৃশ্যমান হয়। জাতীয় কবিতা পরিষদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মূলধারার সংগঠনগুলোর এখন কাজ কী? শুধু বিশেষ কেউ একজন মারা গেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার শেষ বিদায়ের ব্যবস্থা করা? এরশাদবিরোধী আন্দোলনকে বিপথগামী করতে স্বৈরাচার যখন পুরান ঢাকায় হিন্দু বাড়ি-সম্পত্তিতে হামলা শুরু করেছিল এই সংগঠনগুলো কি তখন ঘরে বসেছিল না রাস্তায় নেমে এসেছিলো? এখন যে দেশে অস্বস্তিকর একটি পরিস্থিতি, এখন তারা মাঠে নামে না কেন? আওয়ামী লীগ রাগ করবে? না মুরোদ নেই? না সরকারি নানা সুযোগ সুবিধা পেয়ে শরীর ভারি হয়ে গেছে! প্রিয় কবি নির্মলেন্দু গুণ স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে নিজের নাম না দেখে মিডিয়ায় ইন্টারভিউ দিয়ে নিজের রাগ ঝেড়েছিলেন। কিন্তু জামায়াত শিবিরের এই চাপাতি বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলেন না কেন? ভয় করে? এভাবে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকলে কী তিনি বা তারা বাঁচতে পারবেন মনে করেছেন? জাতীয় প্রেসক্লাবওতো আওয়ামী বীরদের দখলে! দেশের-দশের কী তাতে কোনও লাভ হয়েছে?

আরও পড়তে পারেন: রাজধানী থেকে স্কুলবাস উধাও!

এবার নয় বছর পর দেশে গিয়ে গুমোট একটা পরিস্থিতি বিশেষ চোখে পড়েছে। টানা ক্ষমতায় থাকলেও দল হিসাবে আওয়ামী লীগের বিস্তার ঘটেনি বা ঘটছে না! এটি যেন ঢাকায় এবং সারাদেশে এখন ক্ষমতার ভেতর ঢুকে বসে গেছে! ক্ষমতা মানে গণভবন। সেখান থেকে যে ইজাজত অথবা নির্দেশনা আসে সেটি মিডিয়াতে শেখ হাসিনার ধানমন্ডির অফিস অথবা ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে নিয়ে আসেন একদল। এসব ইজাজত আওয়ামী লীগের পোড়খাওয়া সিনিয়র নেতাদের নিয়ে নেওয়া হয় না। সেখানকার কিচেন কেবিনেটের মেম্বার কারা তা ওয়াকিবহালরা জানেন। সারাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের যে সংগঠন ছিল আওয়ামী লীগ, ঐতিহ্যবাহী দলটির সে চরিত্র এখন ঢাকায় অথবা তৃণমূলে অনুপস্থিত। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, যে যেখানে দলের সঙ্গে আছেন তাদের অনেকেই কিছু পাচ্ছেন বা পাবেন এর জন্যে আছেন। এর বাইরে কেউ কোথাও যেন নেই! আর কেউ থাকুন তাও যেন এ দলের অনেকে আর চান না! যদি ব্যাটা আবার ভাগটাগ চেয়ে বসে? অথবা ভাগটাগে যদি টান পড়ে! নতুবা আওয়ামী লীগ অথবা চৌদ্দ দল যদি মাঠে থাকতো, সঙ্গে যদি থাকতো এর নানা অঙ্গ সংগঠন, সাংস্কৃতিক কর্মী, বুদ্ধিজীবীরা, মাঝে মাঝে যদি এক-দু’বার হালুমও উচ্চারণ করতো তবে কী কতিপয় খুনির দল একের পর এক খুন খারাবি চালিয়ে দেশজুড়ে এভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারে? এরশাদ-খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলনে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ যদি রাস্তায় মানুষের ঢল নামাতে পারে, এখন পারে না কেন? গণজাগরণ মঞ্চটাকে দুর্বল করে দেওয়ায় কার লাভ-কার ক্ষতি হচ্ছে? গণভবনে পিঠাপুলির উৎসবে যত কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী-সাংবাদিক যান, প্রধানমন্ত্রীর নানা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে যান, তাদেরও কী এ পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে নিয়ে কিছু করতে ইচ্ছা করে না? না ভয় করে? না আওয়ামী লীগের পারমিশন নেই? আগে কি তারা কারও পারমিশনের অপেক্ষা করতেন?

মোল্লা-মৌলভীদের সন্তুষ্ট করতে আওয়ামী লীগের অহোরাত্রি যে এতো প্রচেষ্টা এসবের রেজাল্ট কী? এদের কয়জন এসব জবাইয়ের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন? নয় বছর পর দেশে ফিরে কেন জানি আওয়ামী লীগকে, সরকারকে বড় একা মনে হয়েছে! হয় তারা নিজেদের নিজেরা একা করে রেখেছে অথবা কেউ তাদের সঙ্গে যাচ্ছে না অথবা কাউকে তারা কাছে ভিড়তে দিচ্ছে না! এই অচলায়তন না ভাঙলে কিন্তু সামনে সমূহ বিপদ। এভাবে একা হয়ে গেলে নিশ্চিত মরা যায়, অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় না। এসব নিয়ে লিখছি এ কারণে যে আওয়ামী লীগ হেরে গেলে আমরা সবাই হেরে যাই। মানুষকে অপশক্তির বিরুদ্ধে মাঠে নামাতে হবে এবং তা অতিদ্রুত। মানুষ নামলে কিন্তু খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে জামায়াত-শিবির প্রযোজিত এসব অপশক্তি। পুলিশ দিয়ে এদের নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব না। মানুষ দিয়ে এদের ঘেরাও করে ধরে তাদের দেশ পাকিস্তানে পাঠাতে হবে। নূরলদীন আসাদুজ্জামান নূরওতো এখন মন্ত্রী হয়ে ডাক দিতে ভুলে গেছেন! সেই নূরুলদীনও যদি আবার একটা ডাক দিতেন, ‘জাগো বাহে কোনঠে সবাই’!

লেখক: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ