X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

পুরুষতন্ত্রে পুরুষও স্বাধীন নয়

সাদিয়া নাসরিন
০২ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:২৪আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:২৬

সাদিয়া নাসরিন যে দেশে পুরুষতন্ত্র বললে সমগ্র পুরুষজাতি বেদনা অনুভব করে, নিজের অধিকারের কথা বললে নারীদের পুরুষ বিদ্বেষী বলা হয়, সেই সমাজে পুরুষকে বাইরে রেখে পুরুষতন্ত্র ভাঙার কথা মনে হয় আর ভাবা যাবে না। আজকে তাই লিঙ্গ সাম্যের ধারণা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জরুরি হয়ে উঠেছে পুরুষাকার, পৌরুষ এবং পুরুষতন্ত্রের চাপ নিয়ে আলোচনা করার। কারণ, গত কয়েক দশকের নারী আন্দোলন এবং নারীবাদ চর্চার ফলে নারীর নিজের এবং সামগ্রিক জীবনের কিছুটা পরিবর্তন হলেও পুরুষের জীবনে পরিবর্তন আসেনি কিছুই। তাই এখনও সমান অধিকারের ধারণাকে বিতর্কিত করতে পুরুষরা যুক্তি তোলে কেন সংরক্ষিত আসন থাকবে, কোটা থাকবে, বাসে সিট ছেড়ে দিতে হবে কিংবা মাতৃত্বকালীন ছুটি থাকবে? যে ধ্যানধারণা, জীবনাচরণ, অশিক্ষা ও অসচেতনতার কারণে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নারীরা, ঠিক সেই কারণেই কিন্তু পুরুষও মুক্ত হতে পারছে না পুরুষতন্ত্রের অন্ধগলি থেকে।
সমান এবং ন্যায্য লিঙ্গ সম্পর্ক স্থাপন করতে হলে নারী-পুরুষ উভয়কেই পরিবর্তিত হতে হবে এবং সম্পর্কের এই পরিবর্তনের জন্য আমাদের অবশ্যই ‘পৌরুষ’ বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার করতে হবে। বুঝতে হবে নারী পুরুষের সম্পর্কের সঙ্গে এই ‘পৌরুষ’ কিভাবে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া করে, পুরুষতন্ত্র কিভাবে ‘পৌরুষ’ আরোপ করে পুরুষকে আধিপত্যবাদী করে তোলে, একা করে রাখে, কঠিন করে তোলে, আগ্রাসী করে। জেন্ডার বিশেষজ্ঞ এলিসন এম জ্যাগার খুব সুন্দর করে বলেছেন, ‘সমকালীন সমাজে পুরুষরা সক্রিয়, নারীরা নিষ্ক্রিয়; পুরুষ বুদ্ধিজীবী, নারী অভিজ্ঞতাবাদী; পুরুষ খোলামেলা, নারী রক্ষণশীল; পুরুষ প্রবল এবং নারী দুর্বল হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। মূলত নারীত্ব এবং পৌরুষের এই ধারণা আসলে নারী এবং পুরুষ উভয়কেই তাদের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে আচরণ করতে বাধ্য করেছে এবং তাদের স্বাভাবিক ক্ষমতার পূর্ণ এবং স্বাধীন বিকাশ বাধাগ্রস্থ করেছে। দুজনকেই মানবিক সম্ভাবনার বিকাশ থেকে খণ্ডিত করা হয়েছে, মানবিকভাবে একে অপরের থেকে দূরে রাখা হয়েছে, উভয়ের ভেতরে হিংসা দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখা হয়েছে’।

 নারী নির্যাতন প্রতিরোধের সঙ্গে সঙ্গে তাই গুরুত্বের সঙ্গে এই বিশ্লেষণ ও এখন জরুরি হয়ে পড়েছে যে, কেন বেশিরভাগ পুরুষই আগ্রাসী হয়, কেন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ছেলেরা মেয়েদের উত্যক্ত করে, কেন পাশবিকভাবে মেয়েদের ধর্ষণ করে, নিজের স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে, কেন তুচ্ছ কারণে মানুষ মারে? এধরনের পুরুষত্ব পুরুষকে আসলে কী দেয়?  বা এর উৎস কোথায়? কোনও ছেলেই কিন্তু নিষ্ঠুর হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। যদি ছেলেদের ভেতরে থেকে মানবিক গুনগুলিকে সরিয়ে না দেওয়া হয়, নারীর প্রতি অসম্মান শেখানো না হয়, তবে ছেলেরা ও মেয়েদের মতো কোমল, স্নেহপ্রবণ হত এবং নারীকে সমান ভাবতে কোনও অসুবিধা হত না।

পুরুষতন্ত্র নারীর ওপর কিরকম প্রভাব ফেলে এটা দেখা যেমন জরুরি, ঠিক তেমনই গুরুত্বপূর্ণ হলো পুরুষের মন, চিন্তা, শিক্ষা, ব্যবহার, আচরণ ইত্যাদির ওপর এই সমাজ ব্যবস্থার পুরুষ নির্মাণ প্রক্রিয়া এবং পৌরুষের সংজ্ঞায়ন কিভাবে কাজ করে। কলিনের অভিধান অনুযায়ী পৌরুষ কথাটি মানে পুরুষ, তেজস্বি, পরাক্রমশালী, সাহসী, নির্ভিক, শৌর্যশীল, শক্তিশালী, পেশীবহুল, ক্ষমতাশালী, উশৃঙ্খল, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, বলশালী, কঠোর হৃদয়, সক্ষম, স্বাস্থ্যবান...। উফফ! এই দীর্ঘ তালিকা থেকেই বোঝা যায় পুরুষতন্ত্র কী নির্মম ছক কেটে রেখেছে পুরুষদের জন্যও। কারণ কোনও পুরুষের কোনও একটি গুণ(?) প্রকাশ করতে না পারলেই তাকে চরম নিগ্রহের শিকার হতে হয়। ‘কাপুরুষ’ শব্দটি তো তৈরিই হয়েছে ‘পৌরুষ’ দেখাতে না পারা পুরুষদের হেয় করার জন্য, আক্রমণ করার জন্য। ঠিক এ কারণেই, আমাদেরকে পুরুষদের ও সংবেদনশীলভাবে এই আলোচনায় নিয়ে আসতে হবে যেখানে পুরুষ বুঝতে পারবে পুরুষতন্ত্র পুরুষের পছন্দের পথ কিভাবে সংকুচিত করেছে,  তাকে আরোপিত দায়িত্ব ও কাঠিন্যের ছকে ফেলে দিয়েছে।

 

পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ছেলেদের জন্য এমন স্কুলিং করা হয়, যেখানে ছেলেটি পৌরুষের পাঠ পায় শৈশব থেকেই খেলনা ফুটবল, পিস্তল, লাঠি দিয়ে। ছেলে  ঘর-বিছানা এলোমেলো করে গেলে আমরা খুশি হয়ে ভাবি আমাদের সন্তান পুরুষ হয়ে উঠলো! এই পুরুষতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শৈশব থেকে শেখানো হয়, কোমলতা, নম্রতা, সেবাপরায়নতা ইত্যাদি কেবল মেয়েদের গুণ, ছেলেদের ওসব মানায় না। এই পুরুষতান্ত্রিক পাঠ তাকে বলেছে, কেঁদোনা, হার স্বীকার করো না, দুঃখকে স্বীকার করো না, পুরুষ পাথর হও, আগুন হও, কঠোর হও। বলেছে কোমলতা পুরুষকে মানায় না, চোখের জলে পৌরুষ থাকে না, ভয়, দুর্বলতা, আপোষ পুরুষের জন্য নয়। পুরুষতন্ত্র এতো নির্মমভাবে ছেলেদের ভেতর থেকে কোমলতা কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে যে, একটা শিশুকেই তার বাবা-মা মারা গেলে মুখাগ্নি করতে হয়, কিংবা কবরে মাটি দিতে হয়।

পুরুষের স্বাভাবিক মানবিক বিকাশকে খণ্ডিত করেছে পুরুষতন্ত্রের লিঙ্গ রাজনীতি, যেখানে একটি ছেলেকে লিঙ্গের ভেতর বন্দি করে তাকে মানুষ করার বদলে পুরুষ করার প্রক্রিয়া শুরু করে। শৈশব থেকে প্রাকৃতিক লিঙ্গকে মহান করে, ঘুঙুর পরিয়ে, পূজা করে, খৎনা উৎসবের নামে ঢাক বাদ্য বাজিয়ে একটি শিশুকে লিঙ্গ ক্ষমতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে যে  রাজনীতি করে পুরুষতন্ত্র, সেখান থেকে সে আর মানুষ হয়ে ওপরে উঠে আসতে পারে না। ছেলে শিশুকে নগ্ন রেখে, তাকে লজ্জা আর পরিশীলতার শিক্ষা না দিয়ে বরং এই বার্তা দেওয়া হয় যে, তোমার লিঙ্গের কোনও লজ্জা নেই বরং গৌরব আছে। এভাবে ভুল শিক্ষার শিকার হয়েই সে এমন নির্ভয় হয় যে, সে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে মুত্রত্যাগ করে, প্রকাশ্যে যৌনাঙ্গে আচঁড়ায়, নির্বাকারভাবে খালিগায়ে বা স্বল্পবাস পরে ঘুরে বেড়ায়। ভেতরে হোক কিংবা বাইরে, পুরুষের দেহ ভঙিমায় সবসময়ই একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব ওঠে আসে। যে কারণে পুরুষ উদ্যত হতে পারে যখন তখন, শরীরের যৌন প্রত্যঙ্গটিকে অস্ত্র হিসেবে তাক করতে পারে নারীর দিকেই।

পুরুষতন্ত্র নির্ধারণ করেছে পুরুষকেই সবসময় উপার্জন করতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে, রক্ষা করতে হবে, জয়ী হতে হবে। এই ব্যবস্থায় একজন ছেলেকেই বিয়ের মতো একটি সম্পর্কে যাওয়ার জন্য আর্থিক সক্ষমতা প্রমাণ করতে হয়, চড়া অঙ্কের দেনমোহর দিয়ে বৈবাহিক জীবন জামানত রাখতে হয়। এই ব্যবস্থায় আগ্রাসী ছেলেদের প্রশংসার চোখে দেখা হয়, কোনও পুরুষ আগ্রাসী না হলে তাকে ‘মেয়েলি’ বলে নিপিড়ন করা হয়; উগ্র ছেলেরা শান্ত স্বাভাবের ছেলেদের নির্যাতন করে, যৌন হয়রানি করে। যে পুরুষ পৌরুষের এই একাধিপত্যের ভাবনার সঙ্গে খাপ খেয়ে চলে না, গার্হস্থ্য কাজে অংশগ্রহণ করে, নারীর সহযোগী হয়, তাকে কী পরিমাণ আক্রমণের ভেতর দিয়ে যেতে হয়, সে তো আমি আমার জীবনসঙ্গীকে দেখেই বুঝতে পারি। অথচ এই ব্যবস্থার কোপে পড়ে গৃহস্থালি শিক্ষা থেকে দূরে থাকা পুরুষ নিজের বেঁচে থাকার খাবারের জন্য ও নারীর ওপর নির্ভর করে থাকলে সম্মানিত হয়, যেমন নারীকে মহান করে ভাত কাপড়ের জন্য পুরুষের ওপর নির্ভর করায়।

পুরুষতন্ত্র পুরুষকে এভাবে ভাবতে শিখিয়েছে যে, পুরুষের যৌন আকাঙ্ক্ষা নির্ভর করে তার স্বয়ং সম্পূর্ণ ও স্বাধীন পুরুষাঙ্গের ওপর! অধিকাংশ পুরুষই ( নারী ও) বিশ্বাস করে যে, পুরুষাকার নিয়ে পুরুষ যে আচরণ করে তা জন্মগত বা প্রকৃতিগত। তারা মনে করে পুরুষের আগ্রাসন ও যৌনতা ও অন্যান্য আধিপত্যবাদি আচরণগুলো একেবারেই জৈব রসায়নিক বা পুরুষ হরমোনের বিষয়। এই ধারণাই তাদের নিজস্ব ব্যক্তিত্বের স্বাধীনতা খর্ব করে ‘পৌরুষের দাসে’ পরিণত করে। এই ধারণাকে সত্যি বলে ধরে নিলে সমস্ত পুরুষদেরই ধর্ষক বা যৌন নিপিড়নকারী বা অত্যাচারী হিসেবে মেনে নিতে হবে। কিন্তু বাস্তবে আমরা অনেক পুরুষকেই এ ধরনের আগ্রাসী আচরণকে অস্বীকার করে ভদ্র, নম্র, মানবিক এবং সেবাপরায়ন আচরণে দেখতে পাই। কিন্তু পুরুষতন্ত্রে এ ধরনের পুরুষদের নিন্দিত করা হয় বলেই তারা নিজেদের এই গুণগুলো লুকিয়ে রাখেন। আবার এমন পুরুষকেও আমরা জানি, যারা নিজের স্ত্রীর কাছে প্রচণ্ড আগ্রাসী কিন্তু অফিসে বসের কাছে ভীত এবং আজ্ঞাবাহী, বস নারী হলেও! সুতরাং ‘পৌরুষ’ হরমোনে থাকে না, ক্ষমতায় থাকে। যে ক্ষমতা চর্চার উৎস পুরুষতন্ত্র।

পুরুষতন্ত্রের এই ভুল শিক্ষা ও অভ্যাস পুরুষদের বহুগামীতা, যৌন রোগ, মাদক সেবন, সহ আরো কতরকম বিপদের মধ্যে ঠেলে দেয় এটা বোঝাও পুরুষদের জন্য খুব জরুরি। শৌর্য বীর্যের প্রকাশ করার জন্য এবং যৌনক্ষমতা প্রমাণের জন্য কী পরিমাণ ‘পৌরুষের’ চাপ মোকাবিলা করতে হয় একজন পুরুষকে! এই পৌরুষ প্রমাণ করার জন্য পুরুষরা কী ভয়ঙ্কর উদ্ধিগ্নতা এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে! এই পৌরুষত্বের ধারণা থেকেই ছেলেরা শারীরিক শক্তিকে দুর্বলের ওপর ভীতিপ্রদর্শন, শোষণ করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। আলবার্ট কোহেন তাঁর ‘ডেলিংকুয়েট বয়েজঃ দ্য কালচার অব দ্য গ্যাং’ বইতে পৌরুষের সঙ্গে অপরাধপ্রবণতার যোগসূত্র দেখাতে গিয়ে বলেছেন, ‘আগ্রাসী এবং অপরাধমূলক ব্যবহার পৌরুষের চরিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুমোদন’। সাম্প্রতিক বাংলাদেশে কিশোর গ্যাং এর বলি হওয়া দুই কিশোরই এই উঠতি পৌরুষের বলি নয় কি? 

পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থা শুধু নারীকেই অধনস্ত করে রাখেনি, পুরুষকে ও পরাধীন করে রেখেছে। এই সত্য পুরুষরা যতো তাড়াতাড়ি বুঝবে ততোই নারী পুরুষ উভয়ের মঙ্গল। কারণ আগ্রাসী পুরুষরুপকে এখন মেয়েরা প্রত্যাখ্যান করছে, নিজেদের ওপর পুরুষের প্রভুত্ব অস্বীকার করছে। ঘর সংসার, যৌনদাসত্ব আর বাচ্চা মানুষ করার একপেশে দায়িত্বের মধ্যে আটকে থাকতে চাইছে না মেয়েরা। তাই পরিবার ভাঙছে দক্ষিণ এশিয়ার পুরুষপ্রধান সমাজে। ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে নারী-পুরুষের সম্পর্ক। যদি আমরা সত্যিই এই হিংসা আর দ্বন্দ্বের অবসান চাই, যদি আক্ষরিক অর্থেই শান্তি চাই, ভারসাম্যপূর্ণ পরিবার চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের নারী-পুরুষের যৌথ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করতে হবে, পারষ্পরিক সম্পর্কের সমতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। তার জন্য পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের এই আন্দোলনে পুরুষদের অবশ্যই যুক্ত হতে হবে। পুরুষকেও এসব নিয়ম কানুন প্রথাকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে নারীর সঙ্গে সঙ্গে। পুরুষতন্ত্রের আগুন থেকে পুরুষ বাঁচলেই কিন্তু নারী বাঁচবে।

(তথ্যসূত্রঃ পুরুষ এবং পৌরুষ; কমলা ভাসীন)

লেখক: নারীবাদী লেখক  ও অ্যাকটিভিস্ট

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মানব ও সুপারি পাচারের অভিযোগে ভারতে শুল্ক কর্মকর্তা গ্রেফতার 
মানব ও সুপারি পাচারের অভিযোগে ভারতে শুল্ক কর্মকর্তা গ্রেফতার 
ভুয়া পরিচয়ে ভারতে বসবাস বাংলাদেশির, ৪ বছরের কারাদণ্ড
ভুয়া পরিচয়ে ভারতে বসবাস বাংলাদেশির, ৪ বছরের কারাদণ্ড
৫ কোটি টাকা নিয়ে ব্যবস্থাপক নিখোঁজ, পূবালী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তাকে বদলি
৫ কোটি টাকা নিয়ে ব্যবস্থাপক নিখোঁজ, পূবালী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তাকে বদলি
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ