ইট কাঠের শহরে যখন প্রকৃতির সঙ্গে মেশা দুস্কর হয়ে দাঁড়ায় তখন ইচ্ছে হয় অল্প সময়ের জন্য হলেও খোলা পরিবেশে কিছুটা মুহূর্ত বিলিয়ে দেয়ার। শহরের খুব কাছেই রয়েছে মিরপুর বেড়িবাঁধ। তুরাগ নদীর পার ঘেঁষে রাস্তা চলে গেছে সোজা উত্তরার দিকে। নয়নভিরাম দৃশ্য দেখতে দেখতে এই পথ ধরে অনায়াসে ঘুরতে যাওয়া যায়।
পথে যদি খেতে ইচ্ছা করে, তাহলে রয়েছে অসাধারণ কিছু দেশি খাবারের ছোট হোটেল। বেড়ি বাঁধের তামান্না পার্ক পেরিয়ে শুরু এই হোটেলগুলো। ভর্তা-ভাজির পাশাপাশি রয়েছে তাজা মাছ ভাজা। গ্রামীণ পরিবেশের মতো করে সাজানো এই সব হোটেলে স্বল্প মূল্যেই খাবার বিক্রি করা হয়। খাবারের মধ্যে আরও রয়েছে শাক, গরুর এবং মুরগির মাংস।
টেবিলে বসে উপভোগ করা যায় আশপাশের দৃশ্য। পাশেই আছে পুকুর যেখানে বড় বড় মাছ প্রতিনিয়ত দাপিয়ে বেড়ায়। মাছ ভাজা খেতে হলে দুই ধরনের মাছ থেকে বেছে নেওয়া যায়, রূপচাঁদা এবং তেলাপিয়া। রূপচাঁদা প্রতি পিস ২০০ টাকা এবং তেলাপিয়া ১০০-১২০ টাকা আকার ভেদে। মাছ বেছে নেওয়া যায় সামনেই এবং দাড়িয়ে থেকে ভাজা যায়।
এখানে আরও আছে ১০-১৫ পদের ভর্তা। শুটকি, মাছ, সবজি, কালি জিরা সব রকমের ভর্তা প্লেটে সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। প্রতি পদের ভর্তার মুল্য মাত্র ৫ টাকা। মোটা চালের গরম গরম ভাতের সাথে ঘন ডাল দিয়ে এমন পরিবেশে খাবার খুবই চমৎকার। দুপুরের খাবার খেয়ে বিকালের সূর্য হেলে পড়া দেখতে খুব একটা খারাপ লাগবেনা।