মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারালো ছেলে সোহাগ (১৫)। এই ঘটনায় মা মনোয়ারা বেগম (৪০) ও বাবা হারেছ মিয়া (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গেদ্দার বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
ফতুল্লাহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম শামীম বলেন, মা-বাবা ঝগড়া করেছিল। একপর্যায়ে বাবা ছুরি দিয়ে মাকে আঘাত করতে যান। তখন মাকে বাঁচাতে গিয়ে ছেলে ছুরিকাহত হয়। এসময় তাদের মেয়ে বিথি (১২) দৌড়ে বাইরে চলে যায়। ছেলে ও স্ত্রীকে ছুতিকাঘাত করে হারিছ নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সবাইকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ছেলে সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বামী-স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বুধবার (৮ জুলাই) ভোরে তাদের ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাদের দু’জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তবে কী কারণে হারিছ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে।
তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার দূর্গাপুরে। হারেছ পেশায় একজন রিকশাচালক।