তীব্র গোপন ঘূর্ণি ঝড়ের প্রস্তুতিপর্ব
১.
হে গান জারুল গান
কোনো কোনো গান
কিছু কিছু যন্ত্রণা
একান্ত অভিমান
অভিধান!
খোলা বইয়ের পাতা
তীব্র কেঁপে যায়
অলৌকিক চুমু
ঘন নিশ্বাস
অন্ধকার!
২.
বায়স্কোপের দৃশ্যগুলো সরে যাচ্ছে
অ্যারিজোনা থেকে তার আসার কথা
সন্ধ্যা ঘনালো শাটল ট্রেনের অপেক্ষায়
এসব অঞ্চলে নিয়মিত যানবাহনের আকাল
কথাটা ভাবতে ভালো লাগছে
নিয়ে যায় নোটখাতা। লেখা ছাড়া সবকিছু
অতৃপ্ত কামসূত্র
৩.
দুঃখ কি সানি-সাইড ডিম পোচ, উজ্জ্বল হলুদ
দুঃখ কি অবাধ নীলের মাঝে ছিন্ন ছিন্ন মেঘ
দুঃখ কি দুঃখ নয় অন্য কিছু! সেই থেকে মাথায়
খেলছে শুধু। একটা বোঝাপড়ার অদৃশ্য ব্যারোমিটার
দিনশেষে রাস্তায় নামিয়ে আনে...
৪.
এটি কবুতরের ঘর
উড়ে উড়ে নীল চোখের কেউ
প্রতিদিন ডেকে ওঠে বাকুম বাকুম
ভাগাভাগি করে দাঁড়িয়ে যাই পথের দুধারে
এত চাওয়া নিয়ে পলাতক দৌড়াতে থাকি
অন্টারিও লেক থেকে রেইনি রিভার
চলে যাই তাই তাই
গান গাওয়া বেলা শেষ গানে
পৃথিবী দীর্ঘতম পথ ইয়ং স্ট্রিটের টানে
৫.
প্রতিবিম্ব ভেঙে দিয়ে দাঁড়িয়েছি কাচ-ভাঙা ঘাটে
পা ফেলার জায়গা নেই, সরু-চোখ আঁধারে নাচে
যে-দেশে শব্দ নেই সে-দেশের ঠিকানা দিতে পারো!
যেতে চাই, নাও চাই। শব্দভোগ মাতলামি টলমল পা
পৌঁছে দেয় যদি, ফোঁটা ফোঁটা রক্তলেখা গড়িয়ে দিয়ে
হয়তো শেষে যেতেও পারি