X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

গুমের মামলায় গাংনীর মেয়রসহ ১১ আসামি খালাস, বাদীপক্ষের অসন্তোষ

মেহেরপুর প্রতিনিধি
১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২৩:৫৬আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০৫

গুমের মামলায় গাংনীর মেয়রসহ ১১ আসামি খালাস, বাদীপক্ষের অসন্তোষ মেহেরপুরের গাংনীতে বদিউজ্জামান বদিকে গুমের মামলায় খালাস পেয়েছেন অভিযুক্ত গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামসহ ১১ জন। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন। তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বদিউজ্জামান বদির স্বজনরা। তাদের আক্ষেপ, দীর্ঘ আট বছর অপেক্ষা করেও তারা স্বজন হারানোর বিচার পাননি।

খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন, মেয়র আশরাফুলের ভাই আনারুল ইসলাম (৪০) ও খাইরুল ইসলাম (৪৩), জুগিন্দা গ্রামের বকুল (৩৫), গাংনী উত্তরপাড়ার কাদেরের ছেলে শফিকুল (৩৫), রহমান মুহুরির ছেলে বাবুল (৩৫) ও তার ভাই নাজু (৩০), চৌগাছা ভিটাপাড়া গ্রামের মাবুদের ছেলে রানা (৩০), গাংনী হিজলপাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মোজাম কসাই (৩০), গাংনী উত্তরপাড়ার ঈমান কামারের ছেলে খোকন (৩২) এবং একই এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে মিলন (৩০)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি গাংনী উত্তর পাড়ার আব্দুর রহমান মুহুরির ছেলে বাবুল প্রয়োজনীয় কথা আছে বলে মালসাদহ গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে বদিউজ্জামান বদিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে বদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। চিকিৎসা শেষে ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল মালসাদহ গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেরেন বদি। বাড়ি ফেরার পরদিন ২২ এপ্রিল বদি গাংনী বাজারে আসেন। এরপর তার বাড়িতে মিথ্যা খবর দেওয়া হয় যে, র‌্যাব ক্যাম্পে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওইদিন থেকে বদিকে আর পাওয়া যায়নি।

অনেক খোঁজ করার পর না পেয়ে ২৮ এপ্রিল বদির ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলামসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও গুমের মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাংনী থানার এসআই নারায়ণ চন্দ্র নাথ ২০১২ সালের ২৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১২ জন সাক্ষির সাক্ষ্য ও মামলার নথি পর্যবেক্ষণে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত সবাইকে বেকসুর খালাসের রায় দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন খন্দকার আব্দুল মতিন।

খালাস পাওয়ার পর আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পৌর মেয়র বলেন, সত্যের জয় হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি যদি পাপ করতাম তাহলে আল্লাহ শাস্তি দিতেন। আর মামলায় সব আসামি বেকসুর খালাস পেতো না।

তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বদিউজ্জামান বদির মেজো বোন অছিয়া খাতুন। তিনি বলেন, আমি ভাইকেও হারালাম, বিচারও পেলাম না। দীর্ঘ ৮ বছর অপেক্ষা করেছি ভাই হারানোর বিচার পাবো, কিন্তু পেলাম না। হতাশা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে বলে আক্ষেপ করেন তিনি।

 

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
কান উৎসব ২০২৪জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট শেষেই বিজয় মিছিল
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট শেষেই বিজয় মিছিল
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া