চরের জমি দখলের বিরোধের জেরে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভোলার চরে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে চরের আরও দুই বাসিন্দার খোঁজ মিলছে না বলে তাদের স্বজনরা দাবি করেছেন। যদিও তাদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে আহতদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও আলাউদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের নোয়াখালী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর স্বজনের দাবিকৃত নিখোঁজ দু’জনের নাম রকিব ও শেখ ফরিদ।
এদিকে লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানায়, ভোলার চর লক্ষ্মীপুর এবং ভোলা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা। চরের বাসিন্দা হারিছ সরদার ও রাসেল খাঁ গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চরের জমির দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার দুপুরে ওই জমিতে চাষ করা ধান কাটতে যায় হারিছ সরদারের লোকজন। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাসেল খাঁয়ের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৫ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করলেও দু’জনকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের (নিখোঁজদের) কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে স্বজনদের ধারণা। যদিও এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়াল জানান, কৃষকরা তাদের আবাদি জমিতে ধান কাটতে গেলে ভোলার রাসেল খাঁয়ের নেতৃত্বে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় দু’জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। অপর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল কবির জানান, চরে মারামারি ও নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।