নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটনা।
কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার অনুপস্থিতিতে কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলির ইন্ধনে তার বাহিনীর সদস্য রবিউল, ইউছুফ, বাবু, সাইফুল্লাহসহ ১৫/২০ পৌরসভার ভেতরে ডুকে আমাকে উদ্দেশ্যে করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। এসময় আমার ব্যক্তিগত সহকারী শাহীন মিয়া গালমন্দের কারণ জানতে চাইলে তার ওপর হামলা চালায় তারা। হামলাকারীরা শাহীনকে এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকলে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এগিয়ে আসলে তারা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। এর জের ধরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাঞ্চন বাজারে কর্মচারী মাসুদ ও আমার পিএস শাহিন মিয়াকে পেয়ে এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকে হামলাকারীরা।
এসময় তাদের বাঁচাতে আমার আত্মীয় শাহিন ভূইয়া, আলী হোসেন, আব্দুল মতিন, আনোয়ার হোসেন, রাব্বানী মিয়া এগিয়ে এলে হামলাকারীরা শাহীন ভূইয়া ও মাসুদকে চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখমসহ অন্যান্যদের লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর হাড়ভাঙা জখম করে। পরে লোকজন তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মাহিন ফরাজী, রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম, ভোলাবো পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মাহবুব হোসেন ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। এ ঘটনায় শাহীন মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, কাঞ্চন পৌরসভায় সন্ত্রাসী হামলা ও পৌরসভার কর্মচারীসহ যুবলীগের কিছু নেতাকর্মীকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে আহত করার খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে চলে যাই। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ আলমগীর হোসেন নামে এক হামলাকারীকে আটক করেছে।