X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্ত এখন পুরো বাংলাদেশ

তানজিল হাসান, মুন্সীগঞ্জ
১০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৩:৫৬আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:৪৮

পদ্মা সেতু এখন সম্পূর্ণ। যুক্ত হলো সমগ্র বাংলাদেশ

১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২ মিনিট। বাংলাদেশের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে এই ক্ষণটি। এই সময়ে পদ্মা সেতুর ওপরে সর্বশেষ স্প্যানটি বসার মধ্য দিয়ে যুক্ত হলো পদ্মার এপাড়-ওপাড়, তার সঙ্গে যুক্ত হলো সমগ্র বাংলাদেশ। দক্ষিণবঙ্গের কিছু খাল, নদী নালা বাদ দিলে সড়কপথে আজ পুরো বাংলাদেশ এখন সংযুক্ত। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন বাকি আছে, রেলসংযোগ সড়কসহ আরও অনেক খুচরো কাজ বাকি-সেগুলো শেষ করতে হয়তো আরও বছরখানেক সময় লাগতেও পারে। তবে প্রমত্তা পদ্মাকে বশ মানাতে মূল যে কাজ ছিল নদী শাসন আর সেতুর পিয়ারের ওপরে স্প্যান বসানো সেই কঠিন আজ পোষ মেনেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের সাহসী সিদ্ধান্ত দেওয়ায় বলা যায় এটি তার সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্যের অন্যতম হয়ে থাকবে।

তবে সেতু নির্মাণের এই পথটা মোটেও সহজ ছিল না। দেশ স্বাধীনের পর পদ্মা-যমুনার ওপর সেতু স্থাপন করে সারা দেশের সড়ক সংযোগ এবং অর্থনৈতিক বুনিয়াদ শক্তিশালী করার স্বপ্ন দেখতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঘাতকের বুলেট তার সে স্বপ্নপূরণে বাধা দেয়। পরের ৩৯ বছরে সামরিক উর্দিধারী থেকে শুরু করে নির্বাচিত এবং মনোনীত সরকারগুলোও এই দুই বড় নদীতে সেতুর স্বপ্নটাকে সবসময় প্রাধান্য দিয়ে এসেছে। যমুনায় সে স্বপ্নপূরণ হলেও পদ্মা ছিল অধরা। তবে সেই স্বপ্নকে আবার জোরালো করে তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম মেয়াদের ক্ষমতায় এসে ১৯৯৯ সালে এই সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাইকে আবারও প্রাধান্য দেন তিনি।

জানা গেছে, দেশের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা ও দেশের পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগের উন্নয়নে যমুনা নদীর ওপর ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণ পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি তোলে। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯৯৯ সালে একটি প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর পরিকল্পনা প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিস্তারিত সমীক্ষা পরিচালনার অর্থ সংগ্রহের জন্য সেতু বিভাগ থেকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সম্ভাব্যতা সমীক্ষা অর্থায়নের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও জাপান দূতাবাসে পত্র প্রেরণ করে। জাপান সরকার ইআরডি'র প্রস্তাবে সম্মত হয়ে ২০০১ সালের ৪ ডিসেম্বর চুক্তি স্বাক্ষর করে। সমীক্ষায় ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৫৩ কোটি টাকা।

পদ্মা সেতু

৪ জুলাই, ২০০১ পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের আগে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের মেয়াদে তিনি ক্ষমতায় আসতে না পারলেও এ সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ অব্যাহত ছিল। ২০০৩-০৫ সালে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরা পয়েন্টে সেতুর স্থান নির্বাচন করে। ২০০৫ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হলে প্রকল্পটি কারিগরি ও অর্থনৈতিক দিকে থেকে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। পদ্মা সেতুর নির্মাণের পাশাপাশি আলাদা লাইনে বিদ্যুত, গ্যাস ও টেলিযোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনাও হয়।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ সমীক্ষার সুপারিশ অনুসারে ২০০৬ সালের মে মাসের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার জেলা প্রশাসকদের কাছে ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২০০৭ সালের ১২ জুলাই ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প (ভূমি অধিগ্রহণ) অধ্যাদেশ, ২০০৭’ জারি করে সরকার। ২০ আগস্ট, ২০০৭ সালে ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় সম্বলিত পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের আওতায় সেতুর দৈর্ঘ্য ছিল ৫.৫৮ কিলোমিটার, সংযোগ সড়ক ১২.১৬৩ কিলোমিটার ও নদী শাসন করার সিদ্ধান্ত হয় ১৬.৩০ কিলোমিটার।

সূত্রটি আরও জানায়, পদ্মা সেতু নির্মাণে এডিবি ৩৫০ মিলিয়ন, বিশ্বব্যাংক ৩০০ মিলিয়ন এবং জাইকা ১৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার আশ্বাস দেয়। তবে, ২০১০ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিশ্বব্যাংক তাদের অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে নেয়। পরে অন্য দাতারাও সেটি অনুসরণ করে। পরবর্তীতে দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। কোনও প্রমাণ না পাওয়ায় কানাডার আদালত পরবর্তীতে মামলাটি বাতিল করে দেয়।

সেতু সংযোগে স্প্যান বসানোর কাজ করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই।

তবে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্ব ব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করায় প্রথমে সংক্ষুব্ধ হলেও পরে সাহসী সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশীয় অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন তিনি। বর্তমানে প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব সম্পদ থেকে অর্থায়ন করা হচ্ছে। নানা চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে আজ পদ্মা সেতু বাস্তব হওয়ার পেছনে আছে পুরো জাতির বিশাল ত্যাগ। জনগণের করের টাকায় সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার লড়াইয়ে শামিল হতে বিশাল অবদান রাখবে।

২০১১ সালে সেতুতে রেলপথ সংযুক্ত করে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে প্রকল্পের সর্বমোট বাজেট ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ১১৫ দশমিক ০২ কোটি টাকা অর্থ্যাৎ ৭৯ দশমিক ৮৯ ভাগ। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮২ দশমিক ৫০ ভাগ।

সেতু বিভাগের তথ্য মতে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর কাজ বাস্তবায়নে অগ্রগতি ৯১ ভাগ, আর্থিক অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ৩৮ ভাগ এবং সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া বাস্তবায়ন শতভাগ এগিয়েছে। তবে সেতুর কাজে সবসময়েই ছিল অনেক চ্যালেঞ্জ। এ সকল চ্যালেঞ্জিং কাজের মধ্যে প্রথমেই ছিল প্রকল্পের অর্থ সংস্থান। কারণ, ২০১০ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিশ্বব্যাংক তাদের অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে নেয়। পরে অন্য দাতারাও সেটি অনুসরণ করে। পরবর্তীতে দুর্নীতি অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। কোনও প্রমাণ না পাওয়ায় কানাডার আদালত পরবর্তীতে মামলাটি বাতিল করে দেয়। বর্তমানে প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব সম্পদ থেকে অর্থায়ন করা হচ্ছে। এরপরে, কাজ করতে গিয়ে নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন প্রকৌশলীরা। পদ্মা নদীর তলদেশে মাটির বৈচিত্র্যময়তার কারণে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয় পাইলিং নিয়ে।

পদ্মা সেতুর নকশা ছিল এমন

সংশ্লিষ্টরা জানান, পদ্মা সেতুর সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল ১৪টি পিলারের পাইলিং। বিশেষ করে মাঝ নদীতে এই চ্যালেঞ্জের কারণে কাজ বন্ধও রাখতে হয়েছিল। পরবর্তীতে নতুন করে নকশা করে সে চ্যালেঞ্জ জয় করেন প্রকৌশলীরা। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান “কাউই”(COWI) এর পরামর্শক্রমে নকশার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথম পাইলিংয়ের কাজ করা ৭ ও ৬ নম্বর পিলারও রয়েছে এই ১৪টি পিলারের তালিকায়। এই পিলারগুলো হচ্ছে ৬, ৭, ৮,৯,১০,১১ ও ১২ এবং ২৫,২৬,২৭,২৮ ও ৩৫ নম্বর ১৪টি পিলার। প্রসঙ্গত পদ্মা সেতুতে পিলারের সংখ্যা ৪২টি। এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতুর এক প্রকৌশলী জানান, সেতুর কাজ করতে গিয়ে আমরা মহা বিপাকে পড়ি যখন দেখি পদ্মা নদীর তলদেশে মাটির বৈচিত্র্যময়তার কারণে বেশ কয়েকটি পিলারে পাইলিং করা যাচ্ছে না। অবস্থা এমন হয় যেন সেতুর অ্যালাইনমেন্টই পাল্টাতে হবে। কিন্তু, পরবর্তীতে পিলারের নকশা পরিবর্তন করে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। সমস্যা সমাধানের জন্য নির্মাণ কাজে বিশ্বে প্রথম দুটি বিশেষ উপাদান ব্যবহার হয়েছে। একটি হচ্ছে- ভার্টিক্যাল আরসিসি বোর্ড পাইলের মাধ্যমে গ্রাউটিং ইনজেক্ট স্কিন ফিকশন করে দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে নদীর তলদেশে বর্হিভাবে শক্তি বৃদ্ধি। পদ্মায় এমন পাইল সংখ্যা ২২টি। অপরটি হলো স্টিল টিউবুলার ড্রিভেন পাইলে গ্রাউটিং ইনজেক্ট করে পাইলের তলদেশের স্কিন ফিকশন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এমন পাইল সংখ্যা ২৫২টি।

একে একে ৪০ টি স্প্যান বসানো হয়েছে পদ্মা সেতুতে। এই স্প্যান বসাতেও নানারকম চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে হয় প্রকৌশলীদের। বন্যার কারণে তীব্র স্রোতে ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই কে নোঙর করা বা পলি জমে চ্যানেলে নাব্য সংকট হওয়ায় ড্রেজিং করে নাব্য ফেরানো ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। আবার নদী ভাঙনের কবলে পড়ে পদ্মা সেতুর কন্সট্রাকশন এরিয়া ভেঙে যাওয়া, মালামাল নদীতে ডুবে যাওয়া এসব সংকটও ছিল। তবে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বসানো হয় প্রতিটি স্প্যান। করোনাভাইরাস প্রকোপের কারণে চীনে আটকা পড়া চীনা প্রকৌশলী ও অন্যান্য স্টাফদের কারণেও এবছরে কাজে দেখা দেয় কিছুটা ধীরগতি। পরে সেই চ্যালেঞ্জও মোকাবিলায় পারদর্শিতা দেখিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ সেতুর কাজ এগিয়ে নিয়েছে। অবশ্য এতে করে সেতুর পুরো কাজ শেষ হতে কয়েক মাস সময় বেশি লাগবে বলে জানা গেছে। তবে, সবকিছু মিলিয়ে এত বড় একটি প্রকল্পের নানামুখী জটিলতা বা চ্যালেঞ্জিং কাজগুলো পেরিয়ে এগিয়ে গেছে সেতুর কাজ।

পদ্মা সেতু প্রকল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বলেন, প্রথম থেকে সেতু নির্মাণের কাজের সাথে জড়িত আছি। সেতু নির্মাণের বিশাল কর্মযজ্ঞ সংক্ষেপে বলা কোনোভাবেই সম্ভব না। এই সেতু একটি মাইলস্টোন। বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে পদ্মা সেতু।

আরও পড়ুন:
উচ্ছ্বসিত-গর্বিত প্রকৌশলী ও কর্মীরা

পদ্মা সেতুর আরও যেসব কাজ বাকি

যুক্ত হলো পদ্মার দুই পাড়, স্বপ্নের সেতু দৃশ্যমান

১১৬৭ দিনে ৪১ স্প্যান

কোনও ব্যক্তি নয়, নদীর নামেই হবে ‘পদ্মা সেতু’

পদ্মা সেতুর ব্যয় বেড়েছে তিনগুণ

/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
তাপদাহে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের গাউন পরিধানে শিথিলতা
তাপদাহে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের গাউন পরিধানে শিথিলতা
সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
উপজেলা নির্বাচন: জেলা-উপজেলায় আ.লীগের সম্মেলন বন্ধ
উপজেলা নির্বাচন: জেলা-উপজেলায় আ.লীগের সম্মেলন বন্ধ
মিয়ানমার-থাই সীমান্তে আবারও বিদ্রোহীদের হামলা, থ্যাইল্যান্ডে পালাচ্ছে মানুষ
মিয়ানমার-থাই সীমান্তে আবারও বিদ্রোহীদের হামলা, থ্যাইল্যান্ডে পালাচ্ছে মানুষ
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া