দেখা যাবে মাল্টিপ্লেক্সের পাশাপাশি পাবলিক লাইব্রেরিতেও

তানভীর মোকাম্মেলের ইতিহাসনির্ভর চলচ্চিত্র ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ মুক্তি পেলো আজ (১১ ডিসেম্বর)। ছবিটি প্রদর্শনীর ধারায় এনেছে নতুনত্ব।
নির্মাতা জানান, এটি দর্শকরা প্রথম দিন থেকেই দেখতে পারছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের অভিজাত তিনটি মাল্টিপ্লেক্স ছাড়াও শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে।
জানা যায়, আজ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছবিটি দেখা যাবে রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং সেন্টার, ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার ও মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারে অবস্থিত স্টার সিনেপ্লেক্সের আউটলেটগুলোতে। এছাড়া যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার, চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিন এবং শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনেও এটি প্রদর্শিত হবে সপ্তাহজুড়ে।
পাবলিক লাইব্রেরিতে প্রতিদিনকার শোয়ের সময়সূচি হচ্ছে- দুপুর ৩টা, বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট ও রাত ৮টা। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সকাল ১১টায় আরেকটি প্রদর্শনী হবে।
এছাড়া ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ চলচ্চিত্রটি বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সের সময়সূচি হচ্ছে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট, বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে ও সন্ধ্যা ৭টা। ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভারের সময়সূচি হচ্ছে দুপুর ২টা, বিকাল ৪টা  ৪৫ মিনিট ও সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে। মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের সময়সূচি হচ্ছে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট, বিকাল ৪টা ১৫ মিনিট ও সন্ধ্যা ৭টা।
২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ চলচ্চিত্রটির কাহিনি ও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তানভীর মোকাম্মেল।
এতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হোসেন শোভন, খায়রুল আলম সবুজ, নাজিবা বাশার, রামেন্দু মজুমদার, চিত্রলেখা গুহ, ঝুনা চৌধুরী, আফজাল কবির, রাজীব সালেহীন, উত্তম গুহ, মাসুম বাশার, আবদুল্লাহ রানা, বৈশাখী ঘোষ, সংগীতা চৌধুরী, মিলি বাশার, জেবুন্নেসা টুনটুনি, পাভেল ইসলাম, শরীফ হোসেন ইমন, মোহসীন শামীম, ইকবাল আহমেদ, এনায়েত এ মাওলা জিন্নাহ. মাহমুদ আলম, খন্দকার সোহান, পংকজ মজুমদার, ইব্রাহীম বিদ্যুৎ, শ্যামল বিশ্বাস, আছির উদ্দীন মিলন, নবকুমার সরকার, জহির বাচ্চু, মৃণাল দত্ত, প্রশান্ত কর্মকার, স্বপন গুহ, শেখ আবুল খায়ের, নাহার কৃপা, অপরূপ রাহী, আজম শেখ, রানা মাসুদ, রেজাউল করিম সিদ্দীক, মেহেদী আল আমীন, শিশুশিল্পী তূর্য, হিয়া, হিমু, পৌর্শিয়া ও অতিথি শিল্পী অ্যান্ড্রু জোন্স।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল বলেন, ‘ছবিটির গল্প আবর্তিত হয়েছে একজন বামপন্থী নেতার জীবন নিয়ে। এই মানুষটির জীবন ও ত্যাগী রাজনৈতিক জীবনই চলচ্চিত্রটির মূল উপজীব্য। আর চলচ্চিত্রটির শেষ হবে মুক্তিযুদ্ধে এসে। সেই ভাবনা থেকে চলচ্চিত্রটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলাম।’
‘রূপসা নদীর বাঁকে’ ছবিতে উঠে আসবে তিরিশ দশকের স্বদেশি আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডে কমিউনিস্টদের হত্যাসহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
এদিকে ছবিটি আগামী ১৬ থেকে ২৪ জানুয়ারি ৫১তম গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে ওয়ার্ল্ড প্যানারোমা বিভাগে প্রদর্শিত হবে।