নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরের একটি মাধ্যমিক স্কুলে শুক্রবারের বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় এখনও তিন শতাধিক ছাত্র নিখোঁজ রয়েছে। রবিবার কাটসিনা রাজ্য কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা’র এক প্রতিবেদনে এখবর জানা গেছে।
শুক্রবার সরকারি বালক বিজ্ঞান স্কুলে মোটরসাইকেলে চড়ে বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। এসময় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে তাদের তুমুল বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে কয়েকশ’ ছাত্র স্কুল থেকে আশেপাশের জঙ্গলে পালিয়ে যায়। আবাসিক স্কুলটিতে মোট ৮৩৯ জন ছাত্র রয়েছে।
কাটসিনা রাজ্যের গভর্নর আমিনু মাসারি জানান, এখন পর্যন্ত আমরা ৩৩৩ জন ছাত্রের খোঁজ পাচ্ছি না। যেসব ছাত্র হামলার সময় জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল তারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি তারা লুকিয়ে ছিল নাকি হামলাকারীর কাছ থেকে পালিয়ে আসছে।
মাসারি আরও বলেন, অপহৃত ছাত্রদের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, রবিবার স্কুলে জড়ো হন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এসময় নিখোঁজ ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান।
এক নিখোঁজ ছাত্রের অভিভাবক মুরজা মোহাম্মদ বলেন, সরকার আমাদের সহযোগিতা না করে তাহলে সন্তানদের উদ্ধারের কোনও ক্ষমতা আমাদের নেই।
নাইজেরিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রবিবার হামলার ঘটনায় চালু হওয়া একটি হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৬০০ ছাত্র নিখোঁজ ছিল।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মেজর জেনারেল বশির সালিহি-মাগাশ জানান, হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করবে সেনাবাহিনী এবং তারা ছাত্রদের যে কোনও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে।
এখন পর্যন্ত হামলার দায় কোনও গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। এই এলাকাটি বোকো হারেম জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতাধীন অঞ্চল থেকে অনেক দূরে। ২০০৯ সাল থেকে কঠোর ইসলামি আইন জারির লক্ষ্যে সশস্ত্র লড়াই করছে এই গোষ্ঠীটি। ২০১৮ সালে শতাধিক বালিকাকে অপহরণ করেছিল বোকো হারেম। এর আগে ২০১৪ সালে চিবক এলাকা থেকে ২৭০ জনের বেশি বালিকাকেও তারা অপহরণ করেছি।