X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘নয়নমনি’ আমজাদ হোসেনকে শ্রদ্ধায় স্মরণ

জামালপুর প্রতিনিধি
১৪ ডিসেম্বর ২০২০, ২৩:১২আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২০, ২৩:২৬

প্রয়াত চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সংস্কৃতিকর্মী ও স্বজনরা।



বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম দিকপাল তিনি। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একের পর এক ফুল ফুটিয়েছিলেন, দেশের চলচ্চিত্রকে নিয়ে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। তিনি আমজাদ হোসেন। ‘নয়নমনি’র মতো অসাধারণ চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বাংলা চলচ্চিত্রেরই ছিলেন ‘নয়নমনি’। বরেণ্য এই চলচ্চিত্রকার না ফেরার দেশে গেছেন দুই বছর আগে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে তার জন্মস্থান জামালপুরে ৭০টি সংগঠনের সম্মিলনে এক শোক র‌্যালির আয়োজন করা হয়। পরে তার কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়ে তার আত্মার মাগফেরাত কামনায় করা হয় বিশেষ মোনাজাত।


এদিন দুপুরে আমজাদ হোসেন চর্চাকেন্দ্রসহ ৭০টি সংগঠনের অংশগ্রহণে এ শোক র‌্যালিটি বকুলতলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে জামালপুর পৌর কবরস্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা সময় উপস্থিত ছিলেন সাজ্জাদ আনসারী, আমজাদ হোসেনের ছোট ভাই ফরহাদ হোসেন মানু, আমজাদ হোসেনের ছেলে নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, আমজাদ হোসেন চর্চাকেন্দ্রের সদস্য মারুফা আনোয়ার পারুল, বিপাশা, সাগর মুখার্জী, নাট্যকর্মী মেহেদী হাসানসহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।

আমজাদ হোসেন (১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট- ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর)
এছাড়াও দিনব্যাপী কোরানখানি, বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে। সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত হয় আমজাদ হোসেন স্মরণ সভা। তার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্টজনেরা। এছাড়াও আমজাদ হোসেনের সারা জীবনের কর্মস্থল এফডিসিতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে আমজাদ হোসেন স্মরণসভা, মিলাদ মাহফিল ও তবারক বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী আমজাদ হোসেন ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গুণী এই চলচ্চিত্র নির্মাতার স্মৃতি ধরে রাখতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এমন প্রত্যাশা জামালপুরবাসীর।

চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন স্মরণে শোক র‌্যালি।
উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুরে জন্ম নেওয়া আমজাদ হোসেন চলচ্চিত্রে এসেছিলেন অভিনয়ের মাধ্যমে। ১৯৬১ সালে ‘তোমার আমার’ নামে চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে এই অঙ্গনে অভিষেক ঘটে তাঁর। পরবর্তীতে অভিনয়ের পাশাপাশি মনোনিবেশ করেন চিত্রনাট্য রচনা ও চলচ্চিত্র পরিচালনায়। ‘আগুন নিয়ে খেলা’,‘জন্ম থেকে জ্বলছি’,‘দুই ভাই’,‘পিতা পুত্র’,‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’,‘ভাত দে’র মতো ছবিগুলো তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি।

এতসব অনবদ্য সৃষ্টির জন্য বহু পুরস্কার অর্জন করেছেন আমজাদ হোসেন। ১২ বার জিতেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এর মধ্যে আছে শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা, শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার ও শ্রেষ্ঠ প্রযোজকের পুরস্কার। এছাড়া তাঁর ঝুলিতে ছয়টি বাচসাস পুরস্কার, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারও রয়েছে। এমন একজন কিংবদন্তীকে হারানোর শূন্যতা চিরকালই অনুভব করবে বাংলা চলচ্চিত্র।

/টিএন/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
ভোট দিতে এসে কেউ উৎফুল্ল, অনেকেই ক্ষুব্ধ!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনভোট দিতে এসে কেউ উৎফুল্ল, অনেকেই ক্ষুব্ধ!
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কড়া নিরাপত্তায় চলছে ভোটগ্রহণ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কড়া নিরাপত্তায় চলছে ভোটগ্রহণ
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য