X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব নিশ্চিহ্নের চেষ্টায় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা: ইডিইউ উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
১৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:০৮আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:১৪

চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে ক্যাম্পাস শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ।

শ্রদ্ধাবনতচিত্তে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ)। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় ইডিইউ শহীদ মিনারে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক-হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি পরিবারের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি দেশ বা জাতিকে উন্নত করে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা। এ চর্চায় নেতৃত্ব দেন বুদ্ধিজীবীরাই। মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী চেয়েছিল যুদ্ধশেষেও যাতে বাঙালি জাতি আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। এ ঘৃণ্য উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে বাঙালির বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন করতে তারা রাতের আঁধারে হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। ধর্মীয় মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতা থেকে জাতিকে মুক্ত করতে না পারলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের মূল উৎকর্ষই আমরা অর্জন করতে পারবো না।

রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় ও স্কুল অব বিজনেসের সহযোগী অধ্যাপক রাশেদ আল করিমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক ছিলেন ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ আহমেদ রিপন।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারদের ষড়যন্ত্রে যে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ঘটেছিলো তার রেশ আমরা এখনও বয়ে বেড়াচ্ছি। বিশ্বজুড়ে এখনও বুদ্ধিজীবীদের কলমকে দাবিয়ে রাখা হয়, মুক্তচিন্তাকে স্থবির করে দেওয়ার অপচেষ্টা হয়। চিন্তার ধারাকে বাধাগ্রস্ত করা বুদ্ধিজীবী হত্যার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রক্টর অনন্যা নন্দী ও ইসতিয়াক আজিজ জাহেদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী রেজিস্ট্রার ফারহানা আহমদ সিগমা, সহকারী লাইব্রেরিয়ান তাহমিনা আফ্রাদ প্রমুখ।

/টিএন/
সম্পর্কিত
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বেড়েছে
দারুল ইহসানের বৈধ সনদধারীদের এমপিওতে বাধা নেই
সর্বশেষ খবর
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে বাইডেনের স্বাক্ষর
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে বাইডেনের স্বাক্ষর
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা