গীতিকবিদের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক হয়তো ছিল, কিন্তু সংযোগের অভাবে সেটিতে ধুলো জমছিল ক্রমশ। ‘গীতিকবি সংঘ’ নামের প্ল্যাটফর্ম গঠন ও এর নানাবিধ কার্যক্রমের মাধ্যমে সব প্রজন্মের গীতিকবিদের মধ্যে একটি আত্মসম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে সদস্যদের নিয়ে নানা উদ্যোগ ও কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে। সম্প্রতি সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সংগঠনের আজীবন সদস্যদের সম্মান জানাতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন ছবিসহ শুভেচ্ছাপত্র। যা সংগীতের সব মহলে ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছে।
‘গীতিকবি সংঘ’র আজীবন সদস্য হলেন দেশের কিংবদন্তি ৬ জন গীতিকবি। তাঁরা হলেন, কে জি মোস্তফা, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, মনিরুজ্জামান মনির, কাওসার আহমেদ চৌধুরী ও কাজী রোজী। গেল দুদিনে এই গীতিব্যক্তিত্বদের হাতে আজীবন সদস্যপদের শুভেচ্ছাপত্র তুলে দিয়েছেন সংঘের প্রধান সমন্বয়ক শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, সংঘের তিন উদ্যোক্তা আসিফ ইকবাল, কবির বকুল ও জুলফিকার রাসেল এবং সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য জয় শাহরিয়ার।
সংঘের প্রধান সমন্বয়ক শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘এখন আমরা এক হয়ে যে কাজটি করছি, সেটি বহুকাল আগেই করার দরকার ছিল। একজন সিনিয়র গীতিকবি হিসেবে এই দায় আমারও। আমরা নানা কারণে সেটি পারিনি। তবে এবার অতীতের সব দায় কাঁধে নিয়েই আমরা এক হয়েছি। আমরা চাই কিংবদন্তি এই গীতিকবিদের পরামর্শ ও সমর্থন নিয়ে দেশের সব প্রজন্মের গীতিকবিদের এক ছাতার নিচে আনতে। চেষ্টা করবো গীতিকবিদের সম্মান ও সম্মানীর বিষয়টি সমুন্নত রাখার।’
জঙ্গী আরও জানান, সব সদস্যদের নিয়ে গীতিকবি সংঘের সাধারণ সভা হচ্ছে ২৫ ডিসেম্বর। যে সভার মাধ্যমে তৈরি হবে সংঘের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের সূচি।
সংঘের কার্যক্রম সম্পর্কে দেশের অন্যতম জ্যেষ্ঠ গীতিকবি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘গীতিকবি সংঘ আমাকে আজীবন সদস্য হিসেবে সম্মাননা প্রদান করলো! ওদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। ওরা আমাদের জীবনে নতুন রঙ ছড়িয়ে দিলো।’
চলতি বছরের ২৪ জুলাই গীতিকবি সংঘ, বাংলাদেশ-এর আত্মপ্রকাশ হয়। এরপর সংঘের সদস্য লাভের জন্য জমা পড়া আবেদন থেকে যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম পর্যায়ে ৮০ জনেরও বেশি গীতিকবিকে তালিকাভুক্ত করা হয়।
এরপর এই সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে নানা বৈঠক, পরামর্শ ও প্রস্তাবনার মাধ্যমে গীতিকবিদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য টানা তিন মাস নিরলস কাজ করেন।