X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১
আদালতের নির্দেশ মানেননি ডিএসসিসির সাবেক কর্তারা

ট্রেড সেন্টারের ৫২৫ দোকানমালিক ক্ষতিপূরণ পাবেন?

রিয়াদ তালুকদার
২৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:৪০আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৫৭

ঢাকা ট্রেড সেন্টার গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ঢাকা ট্রেড সেন্টারের প্রাথমিক নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১১ সালে। ওই সময় বেজমেন্ট পার্কিংয়ের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয় ৫২৫টি দোকান। বরাদ্দ পেতে তখন প্রতিটি দোকান বাবদ ব্যবসায়ীরা তৎকালীন মার্কেট কমিটিকে দিয়েছিল ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা করে। সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের শেষ সময়ে প্রতিটি দোকান বাবদ আরও ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা দিতে হয়েছিল তাদের। দোকানগুলো অচিরেই বৈধতা পাবে, মার্কেট পরিচালনা কমিটির এমন আশায় তারা টাকা দিয়েছিল। তবে টাকা দিলেও এখনও দোকানের স্থায়ী বরাদ্দ পাননি কেউ। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ডিএসসিসির কিছু অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে ঢাকা ট্রেড সেন্টারের মার্কেট পরিচালনা কমিটির যোগসাজশে এসব দোকান বরাদ্দ বাবদ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে শত শত কোটি টাকা।

এসব দোকান নির্মাণ বন্ধে এক পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে (রিট পিটিশন নং-১৫৬/২০১২) ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন রুল ও নিষেধাজ্ঞা দেন। সেই নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেই দোকানগুলো নির্মাণ ও বরাদ্দ দিয়েছিল ডিএসসিসি।

২০০৯ থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঢাকা ট্রেড সেন্টারের পরিচালনা কমিটিতে ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাব খাটিয়ে আফজাল হোসেন তার স্ত্রী সন্তানদের হকার দেখিয়ে তাদের নামেও বরাদ্দ দিয়েছিলেন বেশ ক’টি দোকান। এ ব্যাপারে জানতে আফজাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে তিনি ফোন রেখে দেন। পরে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা ট্রেড সেন্টার মার্কেট পরিচালনা কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিনও এ ব্যাপারে কিছু জানাতে চাননি।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগের বিষয়ে ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে পরে কথা বলবেন।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা আলোচনার মাধ্যমে আইনগত কোনও পদক্ষেপে যাবেন কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের বলেন, বরাদ্দ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এসব দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। যার কোনও বৈধতা নেই। প্রকৌশল বিভাগ মার্কেট নির্মাণ করে হস্তান্তর করে সম্পত্তি বিভাগের কাছে। যা সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত হয়। পরে সম্পত্তি বিভাগ তা রাজস্ব বিভাগকে বুঝিয়ে দেয়। এসব বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা ট্রেড সেন্টারে নকশাবহির্ভূত স্থাপনাগুলো পর্যায়ক্রমে ভাঙা হবে।

ট্রেড সেন্টারের নকশার মধ্যে যাদের দোকান রয়েছে, সেগুলো যদি ভাঙা পড়ে তবে তাদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি দেখবে বলেও জানিয়েছে ডিএসসিসি।

/এফএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার শঙ্কা এজেন্সি মালিকদের
গরমে পানির সংকট রাজধানীতে, যা বলছে ওয়াসা
পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে
সর্বশেষ খবর
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা