সিলেট বিভাগের বালু-পাথর মহাল ও কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবি মেনে না হলে দেশব্যাপী পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে হুমকি দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এজন্য লাগাতার ধর্মঘটের প্রস্তুতি নিতে সাধারণ শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
গত মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ থেকে সকল পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে জেলা ট্রাক ট্যাংক-লরি, কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন। এই কর্মসূচি অব্যাহত আছে। এর ফলে তিনদিন ধরে সবজিবাহী পিকআপসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রী বহনকারী যানবাহন এ জেলায় আটকে গেছে।
এদিকে, আজ বিকেলে শহরের ওয়েজখালী এলাকায় ট্রাক টার্মিনালে বিক্ষোভ মিছিলও করেছেন তারা। এই মিছিল শেষে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলেন, সিলেটের বালু-পাথর মহাল ও কোয়ারিগুলো বন্ধ থাকায় হাজার হাজার ট্রাক মালিক শ্রমিকরা একবছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ট্রাক, পিকআপ এর ব্যাংক কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় শ্রমিক মালিকদের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা হচ্ছে। গাড়ির কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে হাজার হাজার মালিক শ্রমিক পথে বসেছেন। বেলচা শ্রমিক, লোড আনলোড লেবার, গাড়ির হেলপার, বারকি শ্রমিক, নৌযান শ্রমিক সবাইকে বেকার করে দিয়েছে সরকার। শ্রমিকের ঘরে রান্না হয় নাম, চুলায় আগুন জ্বলে না। এভাবে কোনও দেশ চলতে পারে না।
অবিলম্বে সিলেট বিভাগের সকল পাথর কোয়ারি ও বালু-পাথর মহাল থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বালি পাথর উত্তোলনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তা না হলে আগামীতে পরিবহন শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সারাদেশের পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দেবেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত সব ধরনের পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে।
তারা দাবি করেন, জেলার ফাজিলপুর, ধোপাজান, চলতি নদী, যাদুকাটা নদীর বালিপাথর মহাল বন্ধ থাকায় ট্রাকমালিক, পরিবহণ শ্রমিকসহ ৫০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা ট্রাক ট্যাংকলরি, কাভার্ড-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সামাদ,সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দিন, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মছব্বির মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোপাল মালাকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু খালেদ মাসুম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, শ্রমিকনেতা রবিউল ইসলাম, শাহরুখ মিয়া প্রমুখ।