করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা মানুষদের সংক্রমণের ঝুঁকি ঠেকাতে নতুন এক অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আট দিনের মধ্যে যারা করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের শরীরে এই পরীক্ষা চালানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এরইমধ্যে ১০ স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়েছে এ অ্যান্টিবডি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্টর্ম চেজার নামের নতুন এক ট্রায়ালের অংশ হিসেবে এজেডডি ৭৪৪২ নামে পরিচিত এ এন্টিবডির সংমিশ্রণ তৈরি করেছে ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এর তত্ত্বাবধান করছে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন হসপিটাল (ইউসিএলএইচ)-এর এনএইচএস ট্রাস্ট। গবেষকদের আশা, এ পরীক্ষায় তারা সফল হবেন। এর মধ্য দিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগেই করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা মানুষদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি এড়ানো যাবে বলে মনে করছেন তারা।
ইউসিএলএইচ-এর ভাইরোলজিস্ট ক্যাথেরিন হাউলিহান স্টর্ম চেজার পরীক্ষায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ক্যাথেরিন বলেন, ‘আমরা জানি এ অ্যান্টিবডি সংমিশ্রণ ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারবে। সেকারণে আমরা আশা করছি, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়া এ চিকিৎসা গ্রহণ করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা গড়ে তোলা যাবে। যারা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন এবং ভ্যা্কসিন নেওয়ার সময় নেই; তাদের শরীরে এর মধ্য দিয়ে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলা যাবে।’
ইউসিএলএইচ জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে ১ হাজার ১২৫ জনের শরীরে এ এন্টিবডি চিকিৎসা নিয়ে পরীক্ষা চালানো হবে।