মাজারে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা ও মাজার থেকে অর্জিত টাকার ভাগাভাগির বিরোধ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে নুরুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে৷ রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে আয়েত আলী শাহ মাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুরুল ইসলাম আশুগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে।
নিহতের ভাই আজিজুল ইসলাম বলেন, পীর আয়েত আলী শাহ মাজারের খাদেম আলামীন শাহ্ প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে নারী, জুয়া, মদ গাজা ও গান-বাজনা মজমায় বসেন। এসব অনৈতিক কাজে তার ভাই নুরুল ইসলাম বাঁধা দিয়ে আসছিল। তাই আজ বিকেলে ওই মাজারের খাদেম আলামীন শাহ্ চর চারতলা তার গ্রামের অর্ধশতাধিক লোকজনকে নিয়ে নুরুল ইসলামের ওপর হামলা করেন। এসময় হামলাকারীরা তার ভাই নুরুল ইসলামের বুকে বল্লম দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হয় নুরুল ইসলাম।
পরে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এবিএম মুছা জানান, বল্লমের আঘাতে ফুসফুস ও হৃদপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ভিতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হতে পারে৷ নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, মাজারে অর্জিত টাকার ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে খাদেম আলামীন শাহ্’র সঙ্গে নুরুল ইসলামের বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে নিহত হন নূরুল ইসলাম। তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিন নারীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।