সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ওই বাসের হেলপার আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর রাতে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলাধীন গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আব্দুর রশিদ সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন বাদাঘাট এলাকার বাসিন্দা। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাকে ছাতকের বুরাই গ্রাম থেকে আটক করা হয়। তাকে দিরাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
বাস মালিক সমিতি সূত্র জানায়, গত শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে সিলেট থেকে দিরাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসে (সিলেট জ-১১০৭২৩) ওঠেন ওই শিক্ষার্থী। সিলেটের লামাকাজিতে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি দিরাইয়ে আসার জন্য বাসে ওঠেন তিনি। বাসটি সন্ধ্যায় দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে এলে ওই শিক্ষার্থী ছাড়া আর কোনও যাত্রী ছিল না। এ সময় চালক ও হেলপাররা মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি লাফ দিয়ে বাস থেকে সড়কে পড়ে রক্ষা পায় এবং গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় গ্রামবাসী তাকে দিরাই হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ২৬ ডিসেম্বর রাতে দিরাই থানায় তিন জনকে আসামি করে ধর্ষণচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে বাসের চালক ও হেলপাররা পলাতক ছিল।
সুনামগঞ্জ মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকিত মুকুল জানান, সোমবার ভোরে মালিক সমিতির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বাসের হেলপার আব্দুর রশিদকে ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জের বুরাইয়া গ্রাম থেকে পিবিআই গ্রেফতার করে। পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক হেলপার এখন পিবিআই’র হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন-
গ্রামবাসীর প্রচেষ্টায় যেভাবে রক্ষা পেলো সেই কলেজছাত্রী