ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের মামলায় পলাতক থাকা জামায়েত ইসলামির পাঁচ নেতা আদালতে আত্মসমর্পণের পর তাদের পাঁচ বছরের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (৩ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্যাট আদালতের মুখ্য বিচারিক হাকিম মাসুদ পারভেজ এর আদালতের বিচারক মো. মাসুদ পারভেজ তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই পাঁচ নেতা হলো- জেলা জামায়েতের সাবেক আমির কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, বর্তমান আমির গোলাম ফারুক, জেলা জামায়াত নেতা মো. জাহিদুল ইসলাম, রুস্তম আলী ও মো. জাহাঙ্গীর আলম ইকবাল।
বিকালে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, ২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর সকালে জেলা পুলিশের একটি মিনি ভ্যান পুলিশ লাইন্স থেকে পুলিশ সদস্যদের জন্যে নাস্তা নিয়ে কাউতলি যাচ্ছিল। রাস্তায় শহরের পীরবাড়ি এলাকায় দুস্কৃতিকারীরা গাড়িতে থাকা পুলিশ সদস্যদের মারধর করে ভ্যানটি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এই ঘটনায় ওইদিন রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
গত বছরের ১০ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. মাসুদ পারভেজ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে এজাহারনামীয় ও ঘটনায় জড়িত পলাতক সকল আসামিদের প্রত্যেককে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায়ে পলাতক থাকা আসামিরা গ্রেফতার কিংবা আদালতে আত্মসমর্পণের দিন থেকে সাজা কার্যকরের কথা বলা হয়।
উল্লেখ্য, এই মামলার ২১ আসামির মধ্যে ১৬ জন ইতোপূর্বে আদালতে আত্মসমর্পণ
করার পর তারা বর্তমানে কারাগারে সাজা ভোগ করছে।