X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদায় নক্ষত্রের আলো রাবেয়া খাতুন

মুজতবা আহমেদ মুরশেদ
০৪ জানুয়ারি ২০২১, ১০:৩৯আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২১, ১০:৪৪

মাথার ওপর থেকে ভালোবাসার লাল চাঁদোয়া অকস্মাৎ সরে গেলে যেমন লাগে, বাংলা সাহিত্যের বহুমাত্রিক লেখক শ্রদ্ধেয়জন রাবেয়া খাতুনের বিদায়ে এমনি লাগছে। ২০২১-এর শুরুটা বিষণ্ন খবরে টেনে নিল আমাদের। প্রার্থনা করি, তাঁর অনন্তলোকে যে যাত্রা তা যেন তাঁকে যথাযথ মর্যাদায় আসীন করে। কেননা, তিনি আমাদের ভালোবাসায় মোড়ানো এক শুভ্র হৃদয়। যে হৃদয় আমাদের মতো পাঠককে দুহাতে দিয়েছিলেন সাহিত্যের একটি আলাদা জগৎ। আলাদা ভাষা। আলাদা জীবনের আলাপন।

এ তো সত্যি, হৃদ্ধ হয়েছি আমরা তাঁর ফলানো ফসলের ভূমিস্পর্শে। অশ্রু মুছে আজ লিখতে বসে মনের কোনে উঁকি দিচ্ছে তাঁর শুরুর পথচলা। অতি শৈশবেই তাঁর ভেতর জেগে ওঠে এক আলাদা মানুষ। সে মানুষ তাঁর এগারো বা বারো বছরের কিশোরী হাত বাড়িয়েছিল সাহিত্যের দিকে।  রাবেয়া খাতুনের যখন জন্ম, তখনো ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশ বিদায় নেয়নি। সেসময়ে কন্যাশিশুদের জন্য নানা নিষেধের বেড়াজাল ডিঙিয়ে তিনি বাবা মৌলভি মোহাম্মদ মুল্লুক চাঁদের সাথে নৌকোয় করে মাছ ধরতে যেতেন। বিক্রমপুরের নদী আর জলাভূমির রূপ তার মননে বেঁধেছিল বাসা। মাছ ধরতে গেলে চুপচাপ নৌকার খোলে পুতুলের মতো বসে থাকতে পারতেন না রাবেয়া। প্রায়ই নৌকা নড়িয়ে চড়িয়ে বাবার বকুনিও জুটতো তাঁর কপালে। এরপরেও বাবা তাঁকে সাথে নিতেন। কেননা, তাঁর জন্যেই বড়শিতে মাছ টোপ গিলত চটপট।

সময়টিকে উল্টো করে ধরলে, বলি, রাবেয়া খাতুনের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর । সেসময়ে  ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে মামারবাড়ি পাউসার গ্রামে। তাঁর পৈতৃক বাড়ি শ্রীনগর থানার ষোলোঘর গ্রামে। মা হামিদা খাতুন। বাবা ছিলেন সরকারি চাকুরে আর দাদা ছিলেন শখের কবিরাজ ।

বাবার সাথে মাছধরা এবং দাদার শখের কবিরাজি জীবনাচার তাঁকে নানা মানুষকে কাছ হতে দেখার সুযোগ করে দেয়। ঐ কচি মনের ভেতর আরোও বৈচিত্র্য এসে রঙ ছড়ায় যখন তিনি পাঁচ-ছয় বছর বয়সে পরিবারের সাথে থাকতেন পুরোনো ঢাকার রায় সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন সর্দার লেনে। শোবার ঘরের ছিল একটা জানালা। জানালার বাইরে খানিকটা আকাশ দেখা যেত। আর সেই জানালার পাশে ছিল একটি বিশাল সজনে গাছ। মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙে চোখ মেলেই তিনি দেখতেন, তাঁর বাবা জানালার ধারে নামাজের ভঙ্গিতে বসে সঙ্গীতের রাগ ভাজছেন। আর বাবার রাগ ভাজবার সুরেই ঢলে পড়তেন তিনি ঘুমে।

তিনি প্রায়শই এ গল্পটি করেছেন। এটি একটি তাঁর হীরের টুকরোর মতো পিতার সাথে স্মৃতিবন্ধন। গানের সাথে বন্ধন গড়ে উঠলে তিনি সঙ্গীত শেখায় মন দেন পিতার উৎসাহে। তখনকার সমাজ কিন্তু এসব ভালো নজরে দেখেনি। পুরান ঢাকায় তাঁদের বাড়ি ছিলো মসজিদ লাগোয়া। সুতরাং, হারমোনিয়াম বাজানো নিষেধ। তবে ঝুম বৃষ্টি হলে ছোট্ট রাবেয়া বসতেন হারমোনিয়াম নিয়ে। বৃষ্টির অঝোর ধারা হারমোনিয়ামের ঝঙ্কার বন্ধ জানালার ওপারে ঠেলে দিত না।

পুরানা ঢাকায় তাঁরা থেকেছেন প্রায় দশ বছর। বাবার বদলির চাকুরি। সুতরাং, তাঁদের থাকার ব্যাপারটা ভাড়া বাসাতেই পোক্ত। ভাড়াবাড়ির বদল ছিলোই অহরহ। এবাড়ি, সেবাড়ি। এগলি, সেগলিতে ভাড়া বাসা। ১০ বছর। এমন বাসা বদলের ভেতর খাঁটি ঢাকাইয়াদের জীবনাচার তাঁর নজরে এসেছে চকচকে। প্রতিবেশীদের সাথে মিশতে হতেন চঞ্চল। তবে এতে বাড়ির থেকে বাঁধাও ছিল বিস্তর। চলাক বকাঝকা। তবুও তিনি ভাঙতেন নিয়ম। এমন বকুনির ভেতরেই তাঁর লেখাপড়া শুরু এবং ক্রমে স্কুল ও কলেজের গণ্ডি পেরুনো।

এমন এক কিশোরীর বুকে টনটন করত সাহিত্য লেখার সুর। ফলে মাত্র বারো-তেরো বছর বয়সেই তিনি লিখে ফেলেন উপন্যাস। সপ্তাহে দুটো বায়োস্কোপ বা সিনেমা দেখার একটা চল ছিল তাঁদের বাড়ির। সেখান হতেই সম্ভবত পেয়ে যান তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘নিরাশ্রয়া’ লেখার মসলা। তবে এ উপন্যাসটি কখনও গ্রন্থ আকারে বের হয়নি। ছেলেবেলায় বইপত্রের তলায় গুঁজে রাখতেন সকলের চোখ আড়াল করতে। তাঁর লেখার নেশার কারণে মা বেশ রাগ করতেন। মা চাইতেন, মেয়ে পড়বে আর পড়বে। ভালো ফল করবে। কিন্তু রাবেয়া খাতুন অমন না করে নিজের মতোন চলতে গিয়ে পরীক্ষা পাশও করতেন টেনেটুনে।

প্রকৃতি তাঁকে এভাবে লেখার জগতে সাজিয়ে দিয়েছিল। বিপত্তিও ঘটেছে তাঁর জীবনে। ১৯৪৮-৪৯ সালে রাবেয়ার বাড়িতে হঠাৎ এক চিঠি এলো। এসেছে তাঁর বড়বোনের শ্বশুরবাড়ি হতে। তাতে লেখা, ‘রাবুর হাতের লেখা পত্রিকা অফিসের পরপুরুষেরা দেখে। এজন্য আমাকে গঞ্জনা সহিতে হয়।’

ভাবাই যায় না এটি তাঁর জীবনে কতবড় যন্ত্রণা তৈরি করেছিল। যার মূল কষ্টটি আমরা কখনোই জানব না। তবে, নিশ্চয়ই মনের দুয়ার উন্মুক্ত করলে একটি নীল বেদনার দাগ পাই।

এমন মনোজগত, সাহিত্যকর্ম করতে বাধা বিপত্তি আর লড়াই করে প্রতিষ্ঠা আদায় করেছিলেন আমাদের ভালোবাসার বহুমাত্রিক লেখক রাবেয়া খাতুন। সেই পঞ্চাশের দশক থেকে শুরু করে নিরাধার কাজ-কলম চালিয়ে জীবনের শেষতক এক মস্ত দৌড়ে তিনি উপন্যাস লিখেছেন পঞ্চাশটিরও বেশি। এ পর্যন্ত চার খণ্ডে সংকলিত তার ছোটগল্পের সংখ্যা ৪০০-এর বেশি। বাংলাদেশের ভ্রমণ সাহিত্যের অন্যতম লেখক রাবেয়া খাতুন। উপন্যাস ‘মধুমতী’ ১৯৬৩ প্রকাশের পরপরই কথাসাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।

তাঁর উপন্যাসগুলো হলো : মধুমতী, সাহেব বাজার, অনন্ত অন্বেষা, রাজারবাগ শালিমারবাগ, মন এক শ্বেত কপোতী, ফেরারী সূর্য, অনেকজনের একজন, জীবনের আর এক নাম, দিবস রজনী, সেই এক বসন্তে, মোহর আলী, নীল নিশীথ, বায়ান্ন গলির এক গলি, পাখি সব করে রব, নয়না লেকে রূপবান দুপুর, মিড সামারে, ভরা বাদর মাহ ভাদর, সে এবং যাবতীয়, হানিফের ঘোড়া, হিরণ দাহ, মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাসসমগ্র, এই বিরল কাল, হোটেল গ্রীন বাটন, চাঁদের ফোটা, নির্বাচিত প্রেমের উপন্যাস, বাগানের নাম মালনিছড়া, প্রিয় গুলসানা, বসন্ত ভিলা, ছায়া রমণী, সৌন্দর্যসংবাদ, হৃদয়ের কাছের বিষয়, ঘাতক রাত্রি, মালিনীর দুপুর, রঙিন কাচের জানালা, মেঘের পর মেঘ, যা কিছু অপ্রত্যাশিত, দূরে বৃষ্টি, সাকিন ও মায়াতরু, রমনা পার্কের পাঁচবন্ধু, শুধু তোমার জন্য, ঠিকানা বি এইচ টাওয়ার, কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি, প্রথম বধ্যভূমি, কমলিকা, শঙ্খ সকাল প্রকৃতি, যা হয় না, আকাশে এখনো অনেক রাত, জাগতিক, স্বপ্নে সংক্রামিত, ও কে ছিল, মহা প্রলয়ের পর,  শহরের শেষবাড়ি, নষ্ট জ্যোৎস্নার আলো, মাইগো, সমুদ্রবর্ণ ও প্রণয় পুরুষ, এই দাহ, রাইমা।

এছাড়া তিনি লিখেছেন জীবন ও সাহিত্য, পাবনা মানসিক হাসপাতাল, স্মৃতির জ্যোতির্ময় আলোকে যাদের দেখেছি নামক গবেষণামূলক গ্রন্থ, একাত্তরের নয় মাস, স্বপ্নের শহর ঢাকা, চোখের জলে পড়ল মনে স্মৃতিকথা মূলক গ্রন্থ এবং হে বিদেশী ভোর, মোহময়ী ব্যাংকক, টেমস থেকে নায়েগ্রা, কুমারী মাটির দেশে, হিমালয় থেকে আরব সাগরে, কিছুদিনের কানাডা, চেরি ফোঁটার দিনে জাপানে, কুমারী মাটির দেশে অস্ট্রেলিয়ায়, আবার আমেরিকা, মমি উপত্যকা এবং অন্যান্য আলোকিত নগর, ভূস্বর্গ সুইজারল্যান্ড, হংকং, মালদ্বীপ, পূবের ভূস্বর্গ সোয়াত, তাসমানিয়া নামক ভ্রমণকাহিনী।

ছোটদের জন্য তিনি লিখেছেন দুঃসাহসিক অভিযান, সুমন ও মিঠুন গল্প, তীতুমীরের বাঁশের কেল্লা একাত্তরের নিশান, দূর পাহাড়ের রহস্য, লাল সবুজ পাথরের মানুষ, সোনাহলুদ পিরামিডের খোঁজে, চলো বেড়িয়ে আসি, রক্তমুখী শিলা পাহাড়, কিশোর উপন্যাসসমগ্র, সুখী রাজার গল্প, হিলারী যখন ঢাকায় আমরা তখন কাঠমুন্ডুতে, রোবটের চোখ নীল, ইশা খাঁ, ছোটদের উপহার নামক উপন্যাস ৷ তাঁর অনেক লেখা ইংরেজি, উর্দু, হিন্দি ও ইরানি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

তাঁর পারিবারিক ও সাহিত্যে সফল হয়ে সম্মানিত হবার দৃশ্যপট বহুবর্ণিল। জাহানারা ইমামের পাক্ষিক পত্রিকা ‘খাওয়াতীন’ এ কাজ করার সময় সম্পাদক ও চিত্র পরিচালক এটিএম ফজলুল হকের সঙ্গে তার পরিচয়, পরে ১৯৫২ সালের ২৩ জুলাই পরিণয়। তখন স্বামীর সঙ্গে সিনে ম্যাগাজিনে কাজ করতে শুরু করেন তিনি। সিনেমা দেখার সঙ্গে সঙ্গে লেখালেখিও চলতে থাকে।

সংসার পাতলেন ঢাকার টিক্কাটুলীতে বাসা নিয়ে। রাবেয়ার বয়স তখন উনিশ। জানতেন না রান্না করা। বাবুর্চি এলো। দশটায়। খেয়ে দেয়ে দুজনেই অফিসে চলে যেতেন। ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিটের একটা বিশাল বাড়ির দোতালায় সিনেমা পত্রিকার অফিস। পত্রিকা চালাতেন মূলত চার জন। ফজলুল হক, তাঁর ছোট ভাই ফজলুল করীম । জহির রায়হান ও কাইয়ূম চৌধুরী। তাঁদের সাথে যুক্ত হলেন রাবেয়া খাতুন।

চার সন্তানের জননী রাবেয়া খাতুন। প্রথম সন্তান সাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর। এরপর কন্যা কেকা ফেরদৌসী, ফরহাদুর রেজা প্রবাল এবং ফারহানা কাকলী ।

পত্রিকা সম্পাদনাতেও তিনি মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছেন। ইত্তেফাক, সিনেমা পত্রিকা ছাড়াও তার নিজস্ব সম্পাদনায় পঞ্চাশ দশকে বের হতো ‘অঙ্গনা’ নামের একটি মহিলা মাসিক পত্রিকা।

রাবেয়া খাতুনের লেখা কাহিনি নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘মেঘের পর মেঘ’, ‘কখনও মেঘ কখনও বৃষ্টি’, ‘ধ্রুবতারা’। এছাড়া অসংখ্য নাটকও নির্মিত হয়েছে তাঁর লেখা ধরে।

রাবেয়া খাতুন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ডের বিচারক, শিশু একাডেমির পর্ষদ সদস্যের দায়িত্বও পালন করেন।

বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, ঢাকা লেডিজ ক্লাব, বিজনেস ও প্রফেশনাল উইমেন্স ক্লাব, বাংলাদেশ লেখক শিবির, বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ ও মহিলা সমিতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।

তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার, নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক, জসিমউদ্দিন পুরস্কার, শেরে বাংলা স্বর্ণপদক, চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক, টেনাশিনাস পুরস্কার, ঋষিজ সাহিত্য পদকসহ আরও বহু পুরস্কারে ভূষিত।

অপূর্ব বর্ণিলতার ছটায় সৃষ্টির আনন্দে মোহিত এ এক অপরূপ লেখক জীবন। এ জীবন রেখা বাংলা সাহিত্যে একটি কালকে অমর করে ধরে রেখেছে।  রাবেয়া খাতুন শারীরিকভবে দৃশ্যমানতা হারালেও তাঁর কর্মের মহাযজ্ঞেই তিনি প্রতিনিয়ত আমাদের কাছে প্রতিভাত হবেন। আকাঙ্ক্ষা করব, আগামীর পাঠকেরা তাঁকে বারবার এবং বহুবার পাঠ করবেন। আপন মতোন পথ করে নিতে মানবজীবনের চ্যালেঞ্জ এবং সেইসাথে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান ও স্বাধীনতাযুদ্ধের গৌরববহ ধারাটিকে পরিপূর্ণরূপে বোঝার জন্যে। 

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন