X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘করোনা পরবর্তী শিক্ষা হবে প্রযুক্তিনির্ভর’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৮ জানুয়ারি ২০২১, ২২:২৪আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২১, ২২:২৪

করোনা মহামারির পরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম হবে প্রযুক্তিনির্ভর। তাই ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কারিকুলাম ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আবারও সংস্করণ করা প্রয়োজন।  শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর ‘করোনা পরবর্তী শিক্ষা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা এ অভিমত দিয়েছেন।

‘আগামীর বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কারিকুলাম শিক্ষার গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করে। করোনা মহামারির পর শিক্ষার্থীদের আগামী কারিকুলাম ও মূল্যায়ন পদ্ধতি গতানুগতিক হবে না। তাই বর্তমান সময় ও আগামীর কথা মাথায় রেখেই কারিকুলাম ও মূল্যায়ন পদ্ধতি  পুনরায় সংস্করণের প্রয়োজন রয়েছে।

ভার্চুয়াল আলোচনায় সংসদ সদস্য  মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘দেশে জিডিপির মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ বরাদ্দ করা হয় শিক্ষায়, যা অপ্রতুল।’ বর্তমানের শিক্ষার এই বৈষম্য দূর করার জন্য সরকারের শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেট বৃদ্ধি, বাস্তবায়ন ও সুশাসন গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা কমিশনের মতো মাধ্যমিক ও প্রাথমিকের শিক্ষার উন্নয়নে কমিশন থাকা উচিত।’

কি নোট স্পিকার সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সঠিক শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের জন্য আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সময়ের সঙ্গে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের ২১ শতকের দক্ষতায় দক্ষ করে গড়ে তোলা প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বাজেট বৃদ্ধির  জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবগত রয়েছে। পরবর্তী বছর শিক্ষার বাজেট বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সরকারের ইশতেহার অনুযায়ী সকল স্তরে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা ও বাস্তবায়ন করা দরকার।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব বলেন, ‘শিক্ষক হলেন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার প্রাণ। সময়ের সঙ্গে শিক্ষকদের কাজের পরিধি অনেক বেড়েছে। বেড়েছে অনেক চ্যালেঞ্জও। বর্তমান সমস্যা মোকাবিলা করে আগামীর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য দক্ষ, আধুনিক ও সময়োপযোগী শিক্ষক তৈরি দরকার। ডিজিটাল রিসোর্স তৈরি করার জন্য এবং এডুকেশন টুলস ব্যবহার করার জন্য প্রশিক্ষিত শিক্ষকের বিকল্প নেই।’

ই-ক্যাবের ইনভেস্টমেন্ট কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা ফারহা মাহমুদ তৃনা বলেন, ‘করোনা পরবর্তী কর্মদক্ষতার জন্য একজন গ্র্যাজুয়েটের ডিজিটাল প্রযুক্তিগত দক্ষতা আবশ্যকীয় হওয়া থাকা উচিত।’

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের  সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর আহমেদ মুকুল উপস্থাপনায় ভার্চুয়াল সেশনে যুক্ত ছিলেন— বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (বিইআরএফ) সভাপতি মোস্তফা মল্লিক এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

/এসএমএ/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা