দ্বিতীয় ধাপে কিশোরগঞ্জ সদর ও কুলিয়ারচর পৌরসভা নির্বাচন হবে। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ততই জমে উঠেছে। চায়ের দোকানে আড্ডার ফাঁকে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলাপ-আলোচনা। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করছেন প্রচার চালাচ্ছেন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
প্রতিদিনই প্রার্থীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরামর্শমূলক সভা, পথসভা, উঠান বৈঠক এবং মাইকিং করে যাচ্ছেন। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১৬ জানুয়ারি (শনিবার) দ্বিতীয় ধাপে কিশোরগঞ্জ জেলার দু’টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলবে। তারমধ্যে কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় ২৮ ভোটকেন্দ্রে ব্যালটে এবং কুলিয়ারচর পৌরসভায় প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট হবে।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচন করছেন ৫ জন প্রার্থী। তারমধ্যে আওয়ামী লীগ বর্তমান মেয়র পারভেজ মিয়া, বিএনপি প্রার্থী ইসরাইল মিঞা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী নজরুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) প্রার্থী স্বপন মিয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল গনি ঢালী দ্বিতীয় ধাপে কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর ৫৯জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী রয়েছেন ২২ জন।
কুলিয়ারচর পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচন করছেন ২ জন প্রার্থী। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ হাসান সারওয়ার মহসিন এবং বিএনপি প্রার্থী মেয়র নূরুল মিল্লাত। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪২জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মেয়র প্রার্থীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেক প্রার্থী প্রচার চালাচ্ছেন। ভোটাররা তাদের নিজ মেধায় যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে বেছে নেবেন, সেটাই তাদের বিশ্বাস। নির্বাচনি প্রচারে এখন পর্যন্ত কোনও প্রকার আপত্তিকর ঘটনা ঘটেনি। তাদের লক্ষ্য একটা নির্বাচনে বিজয়ী যেই হোক তাকে পৌরবাসীদের সেবায় একটি আধুনিক পৌরসভা গড়ে তুলতে হবে।
ভোটাররা জানান, প্রতিবারই নির্বাচনের আগে নানা প্রতিশ্রুতি দেন প্রার্থীরা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই প্রার্থী বাছাইয়ের আগে জনমত ও মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন এবং নাগরিক সেবায় যাকে যোগ্য মনে হবে তাকেই ভোট দেবেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম জানান, সুষ্ঠু পৌর নির্বাচনের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কুলিয়ারচর পৌরসভায় যেহেতু প্রথম ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে, তাই নির্বাচনের আগের দিন প্রস্তুতিমূলক ভোটের মহড়া হবে। প্রার্থীরা আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের প্রচার করতে পারবেন। তাছাড়া আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে মাঠে তিন জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন।